সেই দিনে ঐ'মহল্লার তেলার ছেলে
অমক পাড়ার আমেনা নামের সেই
পিতৃহারা অসহায় মেয়েটি কি হাল?
মা থাকতেও নেই অন্যত্র বসেছে বিয়ে।


আমেনা এখন ষোড়ষী মোনা প্রেম যেন
মুখখানী বেশ ডাগড়-ডুগড় ভারী সুন্দর।
রুপবর্তীর মনে ধরা দেয় যেন নয়নেতে'
ওর মনের কষ্ট শোনার-জানার কেহ নেই।


দুঃখে কাঁটে আমেনার কি যে দিবানিশির
পরনের কাপড়, পেটের ভাত, ঔষুধ-পত্তি
আবাসন, সামাজিক নিরাপত্তা, বিবাহ-শাদী
আত্মীয় থাকতেও বিপদে অচেনা এ'জগত।


তাই তো হঠাৎ দুষ্ট মনের তেলার ছেলে
একদিন কি ভাবে যেন জানতে পেরেছে
পিতৃহারা মা থাকতেও যে এতিম মেয়েটি!
ঐ'দূর্বলতার সুযোগ  নেয় তেলার ছেলে।


অসহায় মেয়েটিকে একদিন বাসনা মনে
যায় তার মনভাঙ্গা শত আঘাতের চরণ।
কতটাই হীনমনা পাশে বসে শোনে কথা
মন তার গুপ্তচুরা রসিক বলে প্রেম-কথা।


হায়রে মানুষ নামক কলংঙ্কের সর্বজন
কোথায় দিবে অসায়কে সহায়ত্বের দ্বার।
সেই স্থানে দেয় যেন বানভাসির দোয়ার
অসহায়ত্বের নেয় সুযোগ তেলার পোলা।


এমন কর্মই করে বসেছে ছলিম মিয়া
ডাক পড়ল তার ঘরে, জোর পূর্বকই
নিতে চায় সম্ভ্রণের চেতনার সেই মন!
অহায়কে করে অসহায় শত্রু ভাবান্তে।


কতজনাই বলে কতই না কথামালা মিষ্ট
শব্দচরণ বুলি অনেক বুদ্ধিরই মানুষ রয়।
এ'তটে, কতক লোক রয় এ সমাজ ভর
সাবধানতায় যেন থাকে সকল অসহায়।


সকল মানব কূল; নিবে না দুষ্টলোকের
কোন উপকারের কূল, লোভ-লালসার।
সেই মনে বলি অমন মনের বদমাহিশ
ঐ'লোক গুলিই কলংঙ্কের উদাহরণ হয়।


**********************


বাণী : মানব জীবন খুবই সুন্দর ও মানবিক গুণাবলির। যদি কষ্ট করে একবার জীবনটিকে গড়ে উঠাতে পারা যায়, তবেই মনে হয় এই জগত সংসার সবই হল কল‍্যাণকামী যা মানুষের জন‍্যেই আল্লাহ্ সৃষ্টি করেছেন।