চাকুরী প্রার্থীর ভাইভা!!!
চাকুরীর জন্যে বোর্ড কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন করেন
একজন উপযুক্ত মহিলা প্রার্থীকে..
শুরু হতেই চমৎকার একটি প্রশ্ন


আচ্ছা আপনি এ পর্যন্ত ক'টি প্রেম করেছেন?
এ কথা শোনা মাত্রই মেয়েটি বললেন
প্রিয় সন্মাণিত মহোদয়গণ
আমাকে কি আমার পিতা মহোদয়ের সহিত..
কথা বলতে দেওয়া যেতে পারে?


তিনি এই প্রশ্নের উত্তর সঠিকই দিতে পারবেন!!
ভাইভা বোর্ড কর্মকর্তাগণ অবাক হলেন
এইটা কি করে হতে পারে যে মেয়ে ক'টি প্রেম করেছে
তার উত্তর কি করে মেয়ের পিতা দিতে পারবেন?


ভাইভা বোর্ড হতে প্রার্থী তার পিতাকে ফোন করলেন
বাবা ভাইভা বোর্ড আমাকে প্রশ্ন করেছে আমি জীবনে ক'টি প্রেম করেছি?
আমি উত্তরে বলেছি এই প্রশ্নের জবাব আমার পিতাই দিতে পারবেন
এই কথা বলে প্রার্থী ফোনটি উত্তর শোনার জন্য দেন ভাইভা বোর্ড কর্তৃপক্ষকে


মেয়ে'টির বাবা উত্তর দিলেন আমার মেয়ে
যখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়তো
তখন পাড়ার একটি ছেলে তাকে ভাল লাগার কথা বলে
কিছু উপহার দিয়ে ছিল; সেই উপহার বাড়ী নিয়ে এসে আমাকে


বলে ছিল বাবা ঐ পাড়ার একটি ছেলে
আমাকে ভাল জেনে এই উপহার গুলি দিয়েছে।
আমি মেয়েকে কোন শাসন না করে বললাম আচ্ছা ঠিক আছে
এরপর সবে মাত্র ফল ধরা একটি আম গাছের নিকট নিয়ে যাই


আমি আম পারতে শুরু করি
মেয়েটি বললেন বাবা এই আম
এখনও খাওয়ার উপযোগী হয় নাই
যা খাওয়া যাবে না ঐ আম আর পেরো না।


আম না পেড়ে মেয়েকে নিয়ে বাড়ীতে যাই
তারপর মেয়েকে বলি মা-মনি অনুরুপ ভাবে
আমের যেমন উপযুক্ত বয়স না হলে খেতে ভাল লাগবে না
তেমনি এই বয়সে কেহ উপহার দিলে তা নিতে হয় না।।


এই বয়সে পড়া-শুনা করে মানুষ হওয়ার সময়
তাই এখন পড়া-লেখা করে নিজেকে তৈরী কর!
এই বয়সে কোন বন্ধু নয়;
মেয়েটি আমার কথায় একমত হয়।।


পড়া-শুনায় মনোযোগী হয় এবং ভাল ফলাফল অর্জন করে আজ উচ্চ শিক্ষা লাভ করেছে;
কিছু দিনপর মেয়েটি একটি জিন্সের প্যান্ট পড়ার ইচ্ছা পোষণ করলে
আমি তাকে বাজার থেকে একটি জিন্সের প‍্যান্ট ক্রয় করে এনে দেই
মেয়েটি উক্ত প্যান্টটি পড়ে এবং বলে বাবা কেমন হয়েছে?


আমি মেয়েকে বলি তুমি নিজেই দেখ মা..
আয়নাতে যেয়ে কেমন লাগছে?
তোমার একটি শরীর যা তোমাকে আবরণ করার জন‍্য
সুন্দর পোশাক পরিধান করতে হবে।।


আর পোশাকটা যদি শরীরের অংশের সাথে মেশানো হয়
তাহলে ঐ পোশাক পড়ে চলা ফেরা করলে তোমাকে দেখতে
অন্য রকমের লাগায় নোংরা মানষিকতার এক শ্রেণী বখাটে ছেলেরা
তোমার দিকে তাকায়ে থাকবে; নানান ধরণের অকথার সন্মুখিন হতে হবে।


এই কথা শুনে মেয়ে আমার আর সেই জিন্সের প্যান্ট পড়লো না
সুন্দর ও স্বাভাবিক পোশাক পড়লো এবং দু'য়ে মিলালো
মেয়ে একদিন বাবার আদেশকে মেনে ও পালন করে বললেন
বাবা আসলে ঐ জিন্সের প্যান্ট তো মেয়েদের জন্য মোটেও ভাল নহে!!


দেখ বাবা দু'টি পোশাকে কতটা মানুষরুপের ভদ্র ও সভ্যতায় পার্থক্য
তারপর হতে মেয়ে আর কোন দিন বাবার আদেশ ও উপদেশ
ব্যতিত কোন অপ্রিয় আবদার-আপত্তি করে নাই।
আমিই আমার মেয়ের ভাল মন্দ জানি।।


তাই প্রতিটি পরিবারের মাতা-পিতার উচিৎ
সন্তানদের সাথে খারাপ ব্যবহার নয়
সন্তানদের যে কোন কথা প্রথমে শোনা
তারপর সুযোগ ও সময় বুঝে পরামর্শ করা।।


ভাইভা বোর্ড কর্তৃপক্ষ প্রার্থীর বাবার
এই ধরণের উপদেশ ও মেয়েকে আদর্শতায়
মানুষ করে গড়ে তোলায় কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন!
পরিশেষে এক কথায় প্রার্থীর (মেয়েটির) চাকুরীটা হয়।।


===×××===


বাণী : মার্জিত পরিচ্ছন্ন-পোশাকই মানব জীবনের আদর্শতা এবং উপযুক্ত বয়সে ফলবান লাভে সুখী জীবন মানুষের।।