এক সময়ে ভেবেই হতবাক হতেম হয় তো
আমাকে কেহই পছন্দ করে না ভালোও যে
বাসে না। চোখের সামনেই কত জনাকেই
দু'টি চোখে দেখি ওদের মনে কতটাই প্রেম।
কত পথ চলেছি; কত জনারই সঙ্গী-সঙ্গিনীতে
জীবনটি ছিল ভাবনাতে ভরা ঐ জীবন যে কি?
কি ভাবে পথের সন্ধ্যান মিলবে ঐ'সেই মনে!
ব্যাকুলেরই অপলক দৃষ্টি দেখেও না দেখাতে।
কে কখন কার হ্নদয় হরণে ভাল লেগে ছিল
কোন মনে? সেই জানতো ঐ'সময়ে! আমি
শুধুই জানি হয়তো আমাকে কেহ বাসে না
ভালো; কেহই করে না পছন্দ! এই জীবনে।
সে যে আমারই ছাত্রী পরবর্তীতে ক্লাশ মেটও বটে!
ও যে আমাকে কতটাই বেসে ছিল ভালো। বুঝতে
পেতাম একটু হলেও! ওর ভালো লাগা নয়নে!
কি যেন বলতে চাহে; অপলক দৃষ্টির অবলাতেই।
কখনও ও আমায় বলে নাই অপূর্ব দৃষ্টি নন্দিত
ঐ'সেই সুন্দর অপরুপের মায়া-মাখা-মুখটি-
ফুটে। ও যে বেসে ছিল ভালো সেই কিশোরী বয়সেই।
ঐ'কথাটি বলে ছিল আমায় মুখে নয়! পত্র যোগে।
কি যে ভালো লেগে ছিল! জীবন যেন ধন্য হল!
আমিও তো মনে মনে জানতাম ভালো যা মুখে
বলা হয়ে ওঠেনি; তখনও তো প্রেম কাকে বলে?
সেই মনে সারা না জাগানোতে জীবন বোধদ্বয়ে।
আমি জানি না কিছুই; নেই কখনও ওর সাথে
সাক্ষাৎ; হঠাৎ একদিন হাজির আমার কর্মস্থলে।
ভাবতে অবাক লেগেছে! এ কি আকাশে মেঘ
না আসেই ঝর্ণাঝরার রিমিঝিমি বৃষ্টির শব্দছন্দ।
এ কি তুমি এখানে এসেছো যে? হঠাৎ কোন সংবাদ
ছাড়াই! কেন? বলে ও আপনার সনে কথা আছে'
সময় কি হবে এখন কথা বলার? চলেন ঐ' স্থানে
নিরিবিলি জায়গাটিতে; আমি বলি শোন!
একটু খানী বস! এলে সবে মাত্র! কতদিন দেখা
হয় না তোমাদের সাথে? বাসার সকলে কেমন
আছে? ও বলে আছেন সকলেই ভাল আমিই
ব্যতিত। বাসা হতে না বলে এসেছি' কথা আছে!
আজ আমায় সময় দেন' অনেক কথা বলবো
বলে। ঠিক আছে চলো যাই। কি বলবে তবে?
আমি আপনাকে অনেক পছন্দ করি! ঐ'সেই
ছোট বেলা হতেই। মনের ভিতরে পুষে রেখেছি।
অনেক যত্ন করে যা আজ প্রকাশে সংকোচেতে
রয়ে মন। তারপরও লজ্জা রাখতে পারলাম না
ঠেঁকিয়ে। কারণ বাবা-মা! যে বিবাহের জন্যে
পাত্র দেখেছেন। ও বলে এখন বলেন কি করার?
অনেক বড়ই ঝামেলাতে পড়ে গেলাম অবুঝ
মনে। কি করি ও কে সামলানো হবে যে বড়দ্বায়!
আমারও তখন সময় হয়ে ওঠে নাই' বিবাহ করে
সংসার চালাবার। কত স্বপ্ন আমার মনে জাগ্রত।
পড়া-লেখা শেষে একটু ভাল চাকুরী পেয়ে অর্থ
হলে হাতে জীবনটাকে ভালই সাঁজায়ে তারপরেই
বাঁধবো ঘর! বিধাতার দয়াতে' তবে এখন নয়!
সময় নিয়ে। ও বলে না! এখন যদি না করেন বিয়ে..
বাবা-মা ও ভাই অপেক্ষাতে রাখবেন না আর;
তারা আজই আমাকে বিদায় দিতে পারলেই
আছান পান। সেই ভাবনাতেই কাঁটায় দিন-রাত।
ওদেরও তেমন আর্থিক অবস্থা বেশ একটা নয়!
আমার আয়ও তেমনটা নয়! অর্থ না থাকলে
ভালোবাসাও যে পালায় তা আমি হারে হারে
বুঝি। আজ যে আবেগ নিয়ে নিজ হতে ছুটে
এসেছে আমার নিকটে। সবই মনস্তাতিক তারণায়।
বাস্তবতাতে যখন অর্থ-কষ্ট দেখা দিবে! বলবে
উল্টা পিঠের ঘাতে লবণের ছিটাতে কি যে
জীবন? বাবার বাড়িই ভাল ছিলুম এ কি?
স্বামী সংসারে নেই কোনই চাল-চুলার ঠিকানা?
ভেবে নিলাম এখন আমার সাথে হলে বিবাহ!
কষ্ট পাবে সংসার জীবন নামক অর্থা-কষ্টের।
ও যে দেখতে ভারী মিষ্টি মেয়ে! হবে ওর ভালো
ঘর! দিলে বিবাহ-শাদী! পাবে উপযুক্ত সংসার।
অনেক বুঝালাম ও কে। বললাম দেখ তুমি যে
আমাকে বেসেছো এতোটাই ভালো! তবে কেন
আগে প্রকাশ করোনি? আগে জানালে বুনে
নিতাম স্বপ্ন তোমারই সাথে শলা-পরামর্শ করে।
ঐ'দিকে বাড়িতে আমার ছোট ছোট ভাই তিনটি
বোন ও মা! আবার আমারও এ্যামবিশন চাওয়া।
সব স্বপ্নই হবে যে পথ হারা! না দিতে পারবো ওর
শান্তি! না দিতে পারবো আমাকে! না বাড়িতে?
অভাব নিয়ে কখনও খেলা করতে হয় না। সেই
ভাবনাতে ওকে ম্যানেজ করলাম কোন মতে'
বুঝায়ে বাসাতে পাঠায়ে দিয়ে এলাম ঐ'সেই
দিন! উনিশশত আটানব্বই সন; তারপর হয়..
ওর বিবাহ! পেলাম না দাওয়াত; আমাদের
মুসলিম সমাজ বলে কথা। কি যে ভাল বাসা?
ও না কি ভাল বাসতো আমায়? তবে কেন দিল
না ওর বিবাহের নিমন্ত্রণ পত্র? হায়রে প্রেম!
কত ভাল বাসা; বিবাহ হয়েছে ওর; হয়েছে ওর
স্বামী-সংসার-সন্তান। মহানন্দে চলছে আজ।
আর আমি নিজেকে মানুষ করার প্রত্যয়ে চলে
পথ। পড়া-লেখা কর্মের সাথে চলমান রেখে।
কর্মে যোগ্য একটি পজিশনে বিধাতার দরবারে
চেয়েই প্রাপ্তিতেই। সেই সংসার বাঁধার স্বপ্ন হাত
ছানী দিল আমারই জীবনে প্রায় বারটি বছর পর'
সেই মনে ভালো লাগাতে ভালো বাসার গল্প মন।
===***===
===***===
বাণী: আসলে ভালোবাসা এমন একটি আবেগী মনের প্রশ্রয়। যা মানুষকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে স্বাভাবিক জীবন-যাপনে বাঁধা গ্রহস্ত হয়ে থাকে। সেই জন্যেই প্রেমিক-প্রেমিকা মনের মানুষ গুলি কখনই সঠিক ও স্বাভাবিক মানুষ হতে আলাদা। যা জীবনে তারা নিজকে বড় করে মনে করলেও এক সময়ে তারা কখনও সখনও হতাশা মনে চলে থাকে। যা প্রকৃত পক্ষেই প্রেমের শব্দটাতে প্রেমিক-প্রেমিকা যদি প্রেম সাগরে ডুব দিতে চান। তাহলে নারী-পুরুষ উভয়কেই সংবেদনশীল ও ভবিষ্যৎ জীবনের কথা মাথাতে রেখেই পবিত্রতার সহিত এগুতে হবে। তবেই স্বার্থকতা লাভে ধন্য হবে। অন্যথা নহে।