যে নদীর কূল পেতেই এক দিন হয়েছি উতলা
পেলাম বটে; তরাই উৎরাই সেই ঘাটের কিনারা।
চলে দিন ক্ষণ মাস বছর যুগ তারপরও যে,
হতে চায় না আপন! কেমন যেন করে মন'
বলে আবল-তাবল; তোমারই সঙ্গী করিয়া
শেষ হইল যে আমার জীবন! হায়রে মানুষ!
কই সেই উতলা মনের লাগিবার ভাল, জানিবার
সেই ব‍্যাকূল মনের প্রাণের ভালবাসারই ঢেউ?


বয়সের ভারে জীবন শেষ প্রান্তে তারপরও অন‍্য
মনে; শুধুই থাকিতে চাহে আকাঙ্কা ঐ মানুষেরই?
সেই চাওয়ারই এক সময়ের ভাল লাগার প্রাপ্তিতে
পেলেও! অপেক্ষার পালাতেও হয় যে ভারী নিজ
ভুলের নজর না জানিয়াই, শুধুই করে আসি নিজ
আপনের সাথেই রাহাজানী। না না মানব সকলেই
আমরা নারী-পুরুষ সকলেই এক! একই ছত্রে গাঁথা।


কেহ কাউকেও ছাড়া চলিবে না জীবন! সেই
জীবনের সঙ্গীকে চিনে নাও না একটি বারেই।
পেয়ে যাতে ফস তাইতে না হয় জীবন ভরে!
ওহে নারী-পুরুষ উতলা হয়ো না যৌবনে,
দীক্ষাতে প্রকৃত মানুষ হও; বুঝিতে শেখ;
তারপর জীবন সংসার নামক স্বপ্নের ঘর বাঁধ।
আমি শুনতে চাই না সেই কথাটি যে আর!
তোমায় বিবাহ করিয়া জীবন হইয়াছে সর্বন‍্যাস।


একই সৃষ্টির কর্তার সৃষ্ট মানুষ আমরা
হয়ে এতো ভাল লাগা ভালবাসার ঐ
লোকটি হতে, শুনিতে হইবে কেন পাগলের
প্রলাপ? কখনও সখনও তিক্ততার স্বীকারে
হইতে হয় সংসার নামক মায়ার ছন্ন ছাড়ার।
এতো সুন্দর দুনিয়াতে হই যেন অপায়ার;
কত জ্ঞানী গুণিজন আমরা মানুষ মনে করি
জ্ঞানী! নিজেকে চিনি, প্রকৃত পক্ষে আমরা
কেহই নহে তো জ্ঞানী। তাই তো বলি সমস্ত
ভুল রাখি; পেয়েছি তো তোমাকেই আমি রই
যেন সারাটি জীবন তোমারই সাথে রই! হয় না
যেন শূন‍্যতা ও অবহেলা! আমায় হতে তোমাকে এ জীবনে!
থাকিবো মোরা সারা'টি জীবন ভালবাসায় পরিপূণ‍্যতায় ভরে।
===×××===
===×××===
বাণী : মানুষের মন এমনই একটি প্রেষণা যা একবার পছন্দ হলে সেইটি পেয়ে তৃপ্ত হলেও আবার নতুন করে সারা জাগে দুষ্ট মনের অপূন‍্যতার স্বীকারে (যা হোক সে মানুষ মানুষের, কোন ঘর-বাড়ির, বিলাস বহল জীবন-যাপনের,  অর্জনের) ইত‍্যাদির। তাই মনকে কঠোর ভাবে নৈতিক চরিত্রের গঠন মূলক সংঠনের ন‍্যায় গড়ে সঠিক ভাবে মন স্থির করে এক পেয়ালাতেই সাঁজিয়ে একত্রে জীবন-যাপন করাই উত্তম যা যার অপর নাম ভালবাসায় শূন‍্যতা নয়।।