সকাল সন্ধ্যা  খাটতেই হত  ছিল‌ না যে  বিশ্রাম।
ন্যায্য পাওনার তৃষ্ণা ওদের বেড়ে যায় অবিরাম।
এ-বঞ্চনার  শেষ  টা  কবে শ্রমিক পায়না ভেবে।
ধীরে ধীরে বেড়ে যায় ক্ষোভ বদলা  তারা নেবে।


ঐতিহাসিক মে দিবস, সেই জমা ক্ষোভের ফল।
ন্যায্য পাওনা দিতেই হবে চেয়েছিল শ্রমিক দল।
হাজার হাজার শ্রমিক মিলে দিল সেদিন হুংকার।
আট ঘন্টায় কর্ম শেষ হবে  মালিক হও হুশিয়ার।


মালিক পক্ষ  বন্দুক‌ হাতে  হলকা গুলি‌  ছোড়ে।
বুক ফুলিয়ে দাঁড়ায়  মজদুর  একটুও‌ না  নড়ে।
গুলি-বিদ্ধ  শ্রমিকের  জামা রক্তে  হলো  লাল।
সেই জামাটিই লাল পতাকা  উজ্জ্বল  চিরকাল।


শ্রমিকদের এই আত্মত্যাগে মালিক পেল শিক্ষা।
শ্রমের মূল্য দিতেই হবে এটা নয় কোনো ভিক্ষা।