মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি আমি ছিল জানার অদম্য প্রয়াস,
দাদার কাছে শুনেছি সেই রক্তে রঞ্জিত ইতিহাস।
এই যে স্বাধীন দেশে মনের সুখে স্বাধীনভাবে চলা,
অতটা সহজ ছিল না তখন স্বাধীকারের কথা বলা।


নানার কাছে জেনে একাত্তরে গুলি গিয়েছিল তাঁর পেট ঘেঁষে,
আইলের উপর শুইয়ে সেদিন প্রাণে রক্ষা পেয়েছিলেন শেষে।
যুদ্ধকালীন নয় মাস গৃহে থাকা হয়নি কারো তাদের,
একাত্তরে জোয়ান ছেলে-মেয়ে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল যাদের।


রাত বিরাতে পাঞ্জাবীরা বাড়িতে এসে দিত হানা,
যুবতি মেয়ে উঠিয়ে নিয়ে যেত শুনতো না কারো মানা।
জঙ্গলে বাঙ্কারে তাই থাকতে হয়েছিল নিয়ে পরিবার-পরিজন,
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হতো অকাতরে কতো শত আত্মীয় স্বজন।


মায়ের কাছে জেনেছি আমি ইন্দিরা গান্ধীর কথা,
কোটি শরণার্থী দেখভাল করেছিলেন তিনি হয়ে ত্রাতা।
ট্রেনিং দিয়ে অস্ত্র দিয়ে মিত্র হয়ে ফৌজ দিলেন শত্রু নাশের,
অবশেষে বিশ্ব মাঝে স্বীকৃতি মিলল স্বাধীন বাংলাদেশের।


ছোট্ট বেলায় বাবার কাছে শুনেছি আমি শেখ মুজিবের নাম,
এখন আমি জেনেগেছি বিশ্ব জুড়ে তাঁর কতো যে সুনাম।
যার জন্ম না হলে এই বাংলা কখনো হতো না স্বাধীন,
সারা দেশবাসীর উচিত তাঁর জন্য দোয়া করা প্রতিদিন।


**************
রচনাকালঃ ২৪/০৮/২০২০খ্রি., কুমিল্লা।