ইদানিং সময়টা বড্ড বেশি বিষাদময় মনে হচ্ছে
চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার ঘিরে রেখেছে আমাকে রেইডিং
পার্টি গ্রাস করতে চাচ্ছে আমাকে আমার অজান্তেই
এক গ্লাস অন্ধকার স্ট্যান্ড বাই আছে
পাহাড় বলছে পাহাড়ের গায়ে সদ্য জন্মানো দু চার টে তৃণ
ও বলছে হে কবি তুমি আর কবি হবার ভান কোরোনা
কবি সেজোনা
কবি সাজার মিথ্যে অভিনয় আর কোরো না মানুষকে আর
কবিতার ধোঁয়া তুলে ধোঁকা দিও না


তারা শক্ত করে ব'লে দিলো কেনো লেখো? তোমার কবিতা
হয় না
কাব্য জগতে তোমার বিচরণ আর নয় তুমি আর কবিতা লিখো
না
ঝর্ণার জল, বনের ফুল,বনের পাখপাখালী প্রায় সবাই একই
সুরে কথা বলছে বাড়ির বিড়াল টা যে আদরে আদরে
মাছের কাটা খেয়ে বেশ নাদুস নুদুস সে ও চায় না
তারা কেউ ই চায় না আমি আর কবিতা লিখি


বাকি ছিলো সামুদ্রিক চিল,সমুদ্রের ঢেউ,তার নীল জল
তারা ও আমাকে বললো বেশ কঠিন সুরেই হে কবি
তুমি জজ মানুষ বিচার করাই তোমার কাজ, কবিতা,সাহিত্য
বলতে তুমি কি বুঝো? কিছুই বুঝো না
এ জগতে অহেতুক দৃষ্টিহীন চোখে তাকানো কি তোমার সাজে?
কবিতার গার্ডেনে মালি হবার যোগ্যতা ও কি আছে তোমার?
চেষ্টা আর কোরোনা বাড়াবাড়ি,ঝামেলার কি দরকার?
তোমার বিরুদ্ধে শতো সহস্র অভিযোগ তুমি তোমার জজিয়তি
নিয়েই থাকো
কাব্য জগতে বিচরণ করতে হাটাহাটি করতে তোমার এ বৃদ্ধ
বয়সে একটা ছড়ি দরকার সে ছড়ি তোমার নেই


কি দরকার বাপু জীবন সায়াহ্নে এসে লাঠি হাতে
তরুণ প্রজন্মের কবি মেলায় অহেতুক বাজিকর সাজা
এতো তোমার কাজ নয়
তুমি তাই ফিরে যাও তোমার আপন জগতে,জজিয়তি ভূবনে
কবিতা লেখা কাব্য করা কবিতার অমরত্ব লাভ কবিদের সাথে
আড্ডা মারা, কফি,চায়ের কাপে ঠোঁট ভিজিয়ে ভিজিটিং কার্ড
থ্রো করা, কবিতার আলোচনা, সমালোচনায় অংশ নেয়া তোমার
কাজ নয়


আজ এ পড়ন্ত বেলায় নিজেকে হাজার বছরের পুরনো
বটবৃক্ষের শেকড়ের অংশ বিশেষ মনে হলেও আম্ফান নয়
মনে হচ্ছে
শুধু হালকা বাতাসের সামান্য স্পর্শ ই উপড়ে ফেলে দিতে পারে
আমাকে চিরতরে শেকড়ের মূল থেকে
তাই ভাবছি কবিতা আর নয় লিখবো না আর কিছু ডিলিট হবো
চিরতরে কাব্য থেকে হারিয়ে যাবো বিরান হবো কবিদের সব
মেলা থেকে
কবিতা তোমায় দিলাম তাই দিলাম চির ছুটি


"তোমাদের ঘরে আসবোনা আর মাছের কাটা খেতে মাছের কাটা
খেতে কপালে লাঠির গুতা যে জোটে "
শুভেচ্ছা সব কবি বন্ধুদের ভালো থেকো বিদায় বন্ধু বিদায়