আমার ক্ষেত আজ শস্যে ভরা ধরে না ফসল মাঠে
গোলাঘর আজ শস্যের জন্য কাঁদে বাড়ির বাটে।
শূন্যতা আর হাহাকারে আমি আজ যে দিশেহারা
আমার মাঠে হানা দিলো কে বলোনা বসুন্ধরা?


চারদিকে আজ থৈ থৈ করে বর্ষা মেঘের জল
অথচ আজ জলধির বুকে নাইযে কোনো জল।
আজযে ঘরে একলা বসে ভাবছি সারাক্ষণ
কিসের থেকে কি যে হলো বোঝে না এ মন।


গাছের ডালে ডাকে না পাখি গায়না কোনো গান
তানপুরা আর গীটারে কেনো? শুনি না কোনো তান।
বেলীফুলের গন্ধ নাকে আসেনা আদর করে
প্রেমিক হারা প্রেমিকা আমি থাকবো
কেমন করে?


খেই হারাচ্ছি জীবনের আমি প্রতি বাঁকে বাঁকে
বলবো কাকে কি যে আমি মরছি ধুঁকে ধুঁকে।
বলবো কাকে কোথায় যাবো? পাইনা ভেবে কুল
এখন দেখি জীবনে আমার খাতায় সবি ভুল।


সব কথা কি সবার কাছে কভু বলা যায়?
বললে আবার কুল থাকে না এযে বিষম দায়।
মনের কথা থাকলে মনে বাড়ে মনে জ্বালা
বলতে হবে মনের কথা খুলে মনের তালা।


আসে না ঘুম কাটেনা নিশি আসে না আমার ভোর
যন্ত্রণাতে ছটফট করি কাটে না দুঃখের ঘোর।
এ-যেনো এক কবরে আমি চারদিক অন্ধকার
নাই দরোজা নাই জানালা নাই রে দিবাকর।


কেমনে ঘরে রহিবো একা মন যে মানে না
মনের কথা বলবো কাকে? মন তুমি বলো না।
শান্তি আমায় গ্যাছে ছেড়ে আসবে না আর ফিরে
বিষাদ মাখা মুখখানি আর হাসবে না আর কিরে?


তোমায় ছাড়া কেমন করে বাঁচবো আমি বলো?
এক্ষুনি এসে প্রিয় তুমি আমায় নিয়ে চলো।
বোবা হয়ে আর যায়না থাকা মুখ যে ফোটে না
ফুল বাগানে ফোটেনা ফুল সৌরভ ছড়ায় না।