ভুলে গেলে ভালো হতো ভেবেছিলাম আমি
ভুলতে ঠিকই চেয়েছিলাম বাঁধ সাধলে তুমি।
হয়তো বলোনি মুখে কিবা চোখে চোখে
তবুও করেছো বারণ সকরুণ অন্তর চোখে।


প্রতিদিন কথার মাঝে ঘাস ছিঁড়তাম
হাজারো কথার মাঝে হারিয়ে যেতাম।
পারিনি ভুলতে তোমায় আজও নদী বয়
কুলকুল রবে স্রোত সাগর পানে ধায়।


লাইব্রেরী চত্বরে বসে শীতের মিষ্টি রোদে
অপলক থেকেছি চেয়ে পাখিরা নির্বিবাদে।
ঘাসেরা উঠতো মেতে আমাদের সাথে
তাকিয়ে থাকতো তারা অপলক চোখে।


মধুময় আকর্ষণে ছুটে যেতাম মধু বনে
কতো কথা যেতাম বলে চোখ হৃদয়ের সনে।
গল্প করতে করতে সময় যখনই শেষ
দাড়িয়ে বলতে তুমি আজ এখানেই শেষ।


রাগেতে গরগর করে আমিও তোমার সাথে
উঠতাম মধু বন হতে তোমাকে এগিয়ে দিতে।
এভাবে আমাদের দিন কাটছিলো বেশ
হঠাৎ কাকচিল এসে কেঁটে দিলো রেস।


ত্রিশ বছর কেটে গ্যালো ভুলতে পারিনি
কি করে ভুলবো বলো মন যে মানে নি।
সময়ের স্রোতের টানে ফিরে যাই ঘাস বনে
ভুলতে পারি না হায় ভুলবো ক্যাম্ নে।


বেদনায় নীল হয়ে আজও গোপনে
বারবার কেঁদে ফিরি তোমার ই স্বপনে।
বেদনার বাঁশি আজ কাপিয়ে বসুন্ধরা
বলে যায় সুর তুলে আয় না ফিরে তোরা।


আবার যদি পাই ফিরে পাই সেদিনের সেসময়
ভুল করে আর হারাবো না হারাবো না হেলায়।
তোমার জন্য আজও কাঁদে কাঁদে আমার মন
জীবন থেকে চলে গেলে আর ফেরে না ধন ।


প্রকাশস্থানঃ
বাংলো
জেলা ও দায়রা জজ
সুনামগঞ্জ ।


প্রকাশকাল-
সময়ঃ ২৩-৩২মিনিট
তারিখঃ
বাংলা=         ১৪২৭
ইংরেজী=১৫-০১-২১