শিশুকালে মায়ের সাথে ধরতাম আমি বায়না
রোজা রাখতে না দিলে মা চলেই যাবো চায়না।
মা তখনই হলেন রাজি রোজা রেখো বাবা
দাওনা কথা আর কখনো চায়না তুমি যাবা।


দিলাম কথা মাকে আমি হলেন ভারী খুশী
সেই খুশিতে হলাম খুশী খুশী রাশি রাশি।
মা ছেলের কথোপকথন এখানেই হলো শেষ
রাখবো রোজা সেহরি খেয়ে মজায় আছি বেশ।


শেষ রাতে মায়ের সাথে সেহরি খাবার জন্য
উঠলাম ভারী আনন্দেতে রোজা রাখার জন্য।
খাওয়া দাওয়া শেষে আমার মা বললেন বাবা
এবার চলো যাই ঘুমাতে আর না কথা কবা।


দিলাম তখন কান্না জুড়ে সেহরি ছাড়া আমি
নড়বো না মা এক চুল ও বুঝবে তখন তুমি।
মা বললেন হেসে হেসে ওরে আমার ছেলে
একটু আগে মায়ের সাথে সেহরি না খেলে।


একটু আগে খেয়েছি ভাত সেহরি কোথায় খেলাম?
সেহরি খাবার জন্য ই মা তোমার সাথে উঠলাম।
ভাত খেয়েছি খাইনি সেহরি সেহরি আমি খাবো
নইলে মাগো আবার কিন্তু চায়না চলে যাবো।


মা বললেন রোজার জন্য শেষ রাতে যা খাই
তাকেই বলে সেহরি বাবা আর কিছু যে নাই।
একটু আগে খেয়েছি যা রোজা রাখার জন্য
ওটাই তোমার সেহরি বাবা আর কিছু নাই ভিন্ন।


যতোই মা বলুক না ক্যান সেহরি আমার চাই
রাখবো রোজা সেহরি খেয়ে এর বিকল্প নাই।
মা দেখলেন বিপদ ভারী উপায় কিছু নাই
কেমন করে বিপদ থেকে উদ্ধার আমি পাই।


কান্নাকাটি থামছে না মোর সেহরি আমি খাবো
সেহরি খাবার পরেই না মায়ের কাছে শোবো।
শেষমেষ মা ঘাড়টা ধরে চটজলদি বললো
চল্ ঘুমাতে না হয় তোরে জুজুবুড়ী ধরলো।


ভয়ের চোটে আমার তখন সেহরি খাবার কান্না
থেমে গেলো নিমেষেই আর যে শুনতে পান্না।
এমনি করে মা ও ছেলের সেহরি খাবার গল্প
ছিলো যা মোর ঝোলাতে তার দিলাম কিছু অল্প।