কাগজ আছে দলিল আছে দখল ও আছে মোদের
কিন্তু ব্যাটা বুলু পাগলা কয় যে জমি তাদের।
বুলু তো নয় আসল ব্যাটা আসল হলো ফুলু
লেলিয়ে দেয় বুলুরে সে আবডালে রয় ফুলু।


মাসে মাসে জ্বালায় শুধু জ্বালায় জমির তরে
কয়সে ভালো ফসল হলে উঠবে তাদের ঘরে।
মাঝে মাঝে হুমকি ধমক দিচ্ছে আমার পর
মাথাটা সে নেবে এবার গেলে জমির পর।


ফুলু ব্যাটা নষ্টের গুরু পাঁজির সেরা সে
নাড়তে থাকে কলকাঠি আর হাসতে থাকে সে।
দিন চলে যায় রাত চলে যায় বছর ও যায় চলে
জমির কথা তবুও বুলু যায় না কভু ভুলে।


সে বছরে চাষের তরে জুড়লাম হালে গরু
বলদ ব্যাটা বুলু এসে করলো জ্বালা শুরু।
বললো এসে থামাও গরু আর কোরোনা চাষ
চষলে জমি এবার তোমার হবে সর্বনাশ।


হৈচৈ আর চেচামেচি শুনলে যবে ফুলু
আসলো তেড়ে লাঠি নিয়ে ফুঁসছিলো যে বুলু।
জ্বালার জ্বালা সইতে নারে কথার পরে কথা
গালিগালাজ সবি করে হৃদয়ে দিয়ে ব্যাথা।


বললাম ফুলু আর বাড়িস না ঢের হয়েছে ঢের
একটু যদি বাড়িস তবে করবো ঘিলু বের।
যেমনি কথা অমনি ব্যাটা আসলো তেড়ে মোরে
সাথে সাথে মাথায় তারে দিলাম বাড়ি মেরে।


চিৎকার দিয়ে পড়লো ফুলু জানটা হলো শেষ
মাথার ঘিলু ছড়িয়ে তার রইলো অবশেষ।
করলো মামলা ফুলুর ছেলে করলো শেষে আসি
বিচার করে জজ সাহেবে দিলো আমায় ফাঁসি।


আমি এখন জেলখানাতে গুনছি ফাঁসির দিন
ফাঁসির ফাঁকে শুধতে হবে ফুলুর যতো ঋণ।
তোমরা কভু আমার মতো আর কোরোনা ভুল
ফোটাও সবে তোমরা মিলে ফোটাও গোলাপ ফুল।