পাহাড়ের ঝর্ণা ও সুখে থাকে,কেঁদে ওঠে আনন্দে
সুখ সুর তাল লয়ের ছন্দের মূর্ছনায়,যেখানে-ই
থাকো,মনের সুখেই থাকো,আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত
কিংবা লাভার মতো নয়,গীটারের তারে,হৃদয় বীণে
সুরের তান ধরে,কন্ঠ মিলিয়ে বাঁচো,খোশমেজাজে
বাঁচো,তারপর এসো


আসতে হবে আসতে হবে,আসবে ফিরে,আমার দ্বারে
ইচ্ছে ঘুড়ির লাটাইয়ের মতো,এসো


ঘুরছো ফিরছো খাচ্ছো দাচ্ছো ডুগডুগি বাজাচ্ছো আপন
মনে,বাজাও,শকুনির শ্যেনদৃষ্টিতে বাজপাখির চোখে
তাকাচ্ছো,দেখছো হায়েনার দৃষ্টিতে,গিলে খাচ্ছো
গুইসাপের মতো,খাও,চিলের ঘাড়ে সওয়ার হয়ে
বেমালুম অসহায় মুরগীর বাচ্চা গুলো নিমেষেই হজম
করছো,সাবাড় করছো,করো


অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছো,হিরোসীমা নাগাসাকিতে মস্কারা
করতে করতে বোমা ফাটাচ্ছো,ফাটাও,সহজ সরল
নিরপরাধ মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছো,নেও


হিংস্র বাঘের মতো অসহায় হরিণের বুকের বেষ্টনী ভেঙে
ঢুকে যাচ্ছো তার হৃদয়ে,খাচ্ছো কুড়ে কুড়ে একেবারে
ঝোড়োগতিতে রক্তের ধারাপাত মুখস্থ করে,খাও,আকাশে
জ্বলজ্বল করে উড়ে যাওয়া উল্কাপিণ্ডের পরিযায়ী ছবি
দেখছো,দেখো,অবসন্ন দুপুরের নির্জনতা ভেঙে হাঁসেদের
একটানা প্রেমময় জলকেলি দেখছো,দেখো,ক্ষণিকের ক্লিব
খেলায় এ ধরায় অঘোরে মেতে উঠেছো,ওঠো


তবে পাখ পাখালী গাছ পালা নদ নদীর স্বতপ্রবৃত্ত সঙ্গম
নয় কোনো,এ যেনো সাগরের দীপচরে দিশেহারা
বালিহাঁসের একাকীত্বের বেদনা আর নিঃসঙ্গতার
আঁধারের খেলা,খেলতে থাকো দু'চাদ্দিন,আমিষ নিরামিষ
শাক সবজি,সবই কেনো,বাজার করো,খাও দাও,গল্প
করো


তারপর এসো,ঘড়ির কাঁটা ধরে,মিনিট সেকেন্ড ঘন্টার
হিসেব করে
গণিতের যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ শিখেএসো বিশুদ্ধ করে
ভুলো না আবার,জানতো গণিতের ধারাপাত পাথুরে মুখস্ত
না থাকলে এখানে আসা যায় না,দেখো আবার কাটাকাটি
হয় না কোনো,সৌন্দর্যের শ্রীহীনতা নয়
গণিতে ভালো তো!