গোপালভাড়ের ভুড়ি আর গর্বাচভের টাক
এই নিয়ে বেজায় খুশি বুড্ডো কবিরাজ।
আসলে সে হাবাগোবা গোবর মাথায় ভরা
গোপালভাড়ের ভুড়িতে তার শুধুই দেহ পুরা।


নিজেকে সে পণ্ডিত ভাবে বাকী সবাই ছাত্র
এমন সকল গরুর সাথে চলছে দিবারাত্র।
দশবার দিয়ে মেট্রিকে ফেল তবুও কয় পাস
নিজের কথায় নিজেই আবার গলায় পরে ফাঁস।


অঙ্কে নকল করতে গিয়ে যখন খেলো ধরা
হ্যান্ডকাপ দিয়ে পুলিশ এসে নিয়ে গেলো ত্বরা।
ধরা খেয়ে ফেল করে সে নইলে করতো পাস
নকল করার ফন্দি ফিকির শিখলো বারো মাস।


আর একটা বার চান্স পেলে করতো ঠিকই পাস
করলো তাড়া বাপ যে তাহার নিয়ে পাকা বাঁশ।
কথায় কথায় জ্ঞান বিতরণ করে মাঠে ঘাটে
জ্ঞানের বাহার পড়লে ধরা  মরেই পড়ে তটে।


ইংরেজি তো পারেই না অঙ্কে সে খুব  দূর্বল
আর বিষয়ে বোঝে না সে এই হলো তার সম্বল।
পণ্ডিত ভাবে নিজে থেকেই অন্যরা কয় গাধা
বোঝেনা কয় লোকগুলো সব ভারী সিদে সাদা।


তাহার মতো পণ্ডিত বোঝার মতো লোক
এখনো নাই দুনিয়াতে তবে উদয় হোক।
এদের সাথে কথা ব'লে নাই রে কোনো মজা
লোকগুলো সব কেমনতরো এক্কেবারে সোজা।


গাধাগুলো কোত্থেকে যে আসলো দুনিয়ায়
তাদের সাথে কেমনে করবো জ্ঞান বিনিময়।
লেখাপড়া জানে না কেউ সব করেছে ফেল
নকল ধরা খেয়ে আবার কেউ খেটেছে জেল।


তবুও কই গাধা গুলো আমার কথা শোন
আমি যে এক মহা জ্ঞানী আমিই জনাদ্ধন।
বানরগুলো কেমন যেনো গেছে সবাই ব'খে
এতো বলি আমার থেকে জ্ঞানগুলো নে শিখে।


আমার মতো জ্ঞানী তারা কোথায় খুঁজে পাবে?
এ পৃথিবী ছেড়ে গেলে দেশের কিবা হবে?
তাই তো বলি সময় থাকতে আমার কাছে এসে
জ্ঞান নিয়ে যা আমার থেকে দেশকে ভালোবেসে।