একটা ঘুঘুর চাট্টি ছানা রেখে নিজের বাসায়
গিয়েছিলো বনের ধারে আনতে খাবার আশায়।
ঘুরে ঘুরে দেখছিলো সে খাবার কোথায় পায়
দেখতে পেলো একটু দূরে খাবার যে সেথায়।


খাবার দেখে ঘুঘু এবার দারুন খুশী হলো
খুশীর তরে খাবার ধারে এগিয়ে সে গেলো।
কাছে গিয়ে দেখতে পেলো খাবার ঠিকই আছে
কিন্তু ভয়ে কাঁপছিলো সে ধড়া পড়ে পাছে।


ঘোরাঘুরি এদিক সেদিক চিন্তা করি শেষে
কি করা যায় কি করা যায় দেখি অবশেষে।
ভাবছিলো সে বারে বারে খাবার নিতেই হবে
খাবার ছাড়া ছানাগুলো মরবে সবে তবে।


এবার ঘুঘু দেখতে পেলো ফাঁদ পেতে এক ব্যাটা
দূরে বসে হাসছিলো সে ধরতে হবে এটা ।
ঘুঘু এবার এগিয়ে গ্যালো পাতা ফাঁদের কাছে
দেখতে পেলো আরেকটা সে খাঁচার মাঝেই আছে।


ভাবলো মনে সাহস করে ঔ ঘুঘুটা তার
আছে সেথা ভাইয়ের মতো ভয় কিছূ নেই আর।
ডাকছিলো সে বারে বারে আয় না কাছে আয়
থাকতে আমি খাঁচার মাঝে ভয় কিরে তোর হায়।


ভাবলো ঘুঘু এবার শেষে আর দেরী ক্যান ভাই
তাড়াতাড়ি খাবার নিয়ে বাসায় ফিরে যাই।
এই না ভেবে অবশেষে যেই না দিলো ঠোক
আঁটকে গ্যালো ঘুঘু শেষে কাঁদলো করি শোক।


ছানাগুলো মায়ের শোকে কাঁদছিলো বাসায়
এই বুঝি মা আনছে খাবার এই ছিলো আশায়।
শিকারী যে অমানবিক ছিলো না তার দয়া
ভাবলোনা সে ছানার কথা করলোনা সে মায়া।


আঁটকে পড়ে কাঁদলো ঘুঘু কাঁদলো ছানার জন্য
মরলো বাসায় ছানাগুলো একটু খাবার জন্য।
যে শিকারী বেআইনী ধরবে বনের পাখী
আইনের জালে ফেলে যেনো আটকে তাকে রাখি।


অমানবিক ফাঁন্দি যারা নাইকো তাদের ছাড়
দিতে হবে শাস্তি তাদের শাস্তি যতো তার।
এ বার্তাটি সবার তরে পৌছে দিলে সবে
পাখির সাথে ফন্দিফিকির বন্ধ হবে তবে।