মাঝে মাঝে তুমি যখন লাপাত্তা হয়ে যাও
তখন তোমাকে আমার ভীষণ অপরচিত লাগে
মনে হয় তোমার সাথে জীবনে দেখা হয়নি কখনো আমার
আমার সাথে কথা হয়নি তোমার মোটেও কোনোদিন
টিএসসি হতে কখনো বৈচি ফুলের মালা কিনে দাওনি তুমি আমাকে
অপলক দৃষ্টিতে কখনো তাকিয়ে থাকোনি আমার দিকে
অন্য একটা কিছু ছোঁয়ার ভান করে কখনো আঙ্গুলে ইচ্ছেকৃত স্পর্শ করোনি
তুমি আমাকে


রিক্সা চড়ে যাবার মুহূর্তে দোয়েল পাখিদুটির খুনসুটি আঙুল উঁচিয়ে দেখাওনি
আমাকে
লাইব্রেরী চত্বরে তাজা সবুজ ঘাস ছিড়ে আমার মুখের ওপর ছুড়ে মারোনি
কখনো তুমি


হঠাৎ করে তোমার হারিয়ে যাওয়ার
তোমার নিখোঁজ হওয়ার সংবাদটি পত্রিকার পাতায় দেখতে খুব
মন চায় আমার
আবার ভাবি না তুমি হয়তো হারিয়ে গেছো একেবারে আমার থেকে
হারিয়ে গেছো চিরতরে আমার জীবন থেকে
হয়তো ফিরে আসবে না এ জীবনে আমার আর কোনোদিন তুমি


তোমার ব্যস্ততা তোমার অজুহাত আমাকে ভীষণ ভাবে নাড়া দেয়
কষ্টেরা মঞ্চে দাড়িয়ে আহ্বান জানায় আমাকে
অজান্তেই কষ্টের মালা পরিয়ে দেয় গলেতে আমার


তোমার সীমাহীন ব্যস্ততা তোমার স্বেচ্ছা নির্বাসন তোমার নিষ্ক্রিয়তা
আমার কাছে তোমাকে চির অচেনা করে তোলে
ভাবতেই পারি না তুমি আমার এতো অচেনা কি করে প্রিয় তুমি হলে


কাজতো কতো মানুষই করে
তাই বলে কি তারা প্রিয় জনকে এভাবে ভুলে যায়!
চব্বিশ ঘণ্টায় একবার ও একটা কল করার কি মেসেজ দেবার সময় ও
হয়না তোমার


বড়ো অদ্ভুত এক মানুষ তুমি
তোমাকে ঠিক আজও চিনতে পারলাম না আমি
পারলাম না চিনতে কলা ভবনে ঘুরে বেড়ানো নিত্যদিনের কবুতরগুলোকে
আজও


আর বোধ হয় চেনা হবে না তোমাকে এ জীবনে আমার
তবুও সেই দু্বলা ঘাস ছুড়ে দেবার দৃশ্য মনে রেখে
অন্তত একবার বলবো
ভালো থেকো প্রিয় যেখানেই তুমি থাকো না কেনো
ভালো থেকো শীতের দুপুরের ঠিক মিঠে রোদের মতো সারাক্ষণ সারাবেলা


বাংলা-১৮ চৈত্র ১৪২৮
ইংরেজী-০১-০৪-২০২২
বাংলো-জেলা ও দায়রা জজ
সুনামগঞ্জ