ছোটো বেলার ঘুড়ির কথা
আজও মনে পড়ে
উড়তো ঘুড়ি মাথার ওপর
নাটাই রাখতাম ধরে।


পাড়ার সকল ছেলে মিলে
পিতামাতার কাছে
ধরতাম বায়না ঘুড়ির জন্য
ধরতাম তাদের কাছে।


বাজারে আর হাটে যেতাম
বাপ দাদার সাথে
কিনতাম ঘুড়ি নাটাই সুতা
খুশী হতাম তাতে।


হরেক রকম উড়তো ঘুড়ি
বাজতো ভেরী সুরে
বাতাসে সুর যেতো উড়ে
কাছর থেকে দূরে।


ঘুড়ি গুলো কি বাহারি
হরেক রকম রং
লাল নীল হলুদ ঘুড়ি
সাজতো নানান ঢং।


আনন্দেতে থাকতাম মেতে
খাওয়া দাওয়া  নাই
খাওয়া দাওয়া ছেড়ে সবাই
উড়তাম সুখে তাই।


উৎসবে আর আনন্দেতে
আকাশ যেতো ফেটে
চাঁদের বুড়ী  হঠাৎ করে
নাটাই দিতো কেটে।


দিনের বেলা আকাশ সীমা
ছেড়ে যেতো ঘুড়ি
রাতের বেলা হাজার মাইল
স্বপ্নে দিতাম পাড়ি।


ঘুড়ি খেলার সেই আনন্দ
আজ কোথাও নাই
হাজার চেষ্টা করলেও তাই
পাবে না আর ভাই।


গ্রামীণ বাংলার ঐতিহ্য আর
আনন্দের এ ঢেউ
হারিয়ে গ্যাছে বিবর্তনে
দেখবে না আর কেউ। 


প্রকাশস্থানঃ
বাংলো
জেলা ও দায়রা জজ
সুনামগঞ্জ ।


প্রকাশ কালঃ
সময়ঃ ০৮-৪৪ মিনিট
তারিখঃ
বাংলাঃ ২৯ পৌষ ১৪২৭
ইংরেজিঃ ১৩-০১-২০২১