সারাজীবন ভাবলে স্বামী তার কাজই বড়ো
দিবা রাত্রি খেটেও আমি ভয়ে জড়োশড়ো।
সকাল বেলা অফিসে যায় লাঞ্চটা নিয়ে সাথে
লাঞ্চটা রেডি করে দিতে কষ্ট করি তাতে ।


নাস্তা বানাই থাল বাটি ধুই বাচ্চা রেডি করি
সাথে সাথে বাচ্চা নিয়ে স্কুলের পথ ধরি।  
বাসায় ফিরি রান্না করি কাপড় চোপড় ধুই
স্কুলে যাই বাচ্চা আনি পড়ার খবর নেই।


শ্বশুর আছে শ্বাশুড়ী আছে আছে ননদিনী
কম হলে একটু কিছু কাঁদবে বিনোদিনী ।
পান থেকে চুন খসলে পরে রক্ষা আমার নাই
তাদের সেবা করতে যেনো ত্রস্ত আমি তাই।


কেউ বা খাবেন চা আবার কেউ বা খাবেন পান
কেউ বা খাবেন কফি আবার কেউ বা দেবেন টান।
পিয়াজ কাটতে বসলে আমার চোখে আসে জল
জল দেখে ঔ শ্বাশুড়ী কয় আর কোরোনা ছল।


কিছু হতে কিছু হলে  পাতবে বুড়ী কল
ছেলের কাছে করবে নালিশ করবে ভারী ছল।
ননদিনী জল ঝরিয়ে বলবে ভাইয়ের কাছে
দিনটা আমার কষ্টে গেছে কষ্টে ভাবীর কাছে।


এরি মাঝে মেহমান আছে মেজবান আছে আরো  
রাধতে হবে কোরমা পোলাও আর যতোটা পারো।
মেয়ের আমার টিচার আছে বিকেল বেলা আসে
মেয়ের পড়ার খবর নিতে বিকেলটা যায় ভেসে।


এমনিভাবে দিন কাটে যায় থাকি মলিন মুখে
সন্ধ্যাকালে স্বামী আসে হাসি হাসি মুখে।
মন খুলে সে কয় না কথা মুখটা ভারী করে
অকারণে বারে বারে ঝগড়াঝাটি করে।


কি কাজ তোমার বাসায় বলো শুয়ে বসে থাকো
মা বাবা তো বুড়াবুড়ী একটু না হয় দেখো।
বোনটা আমার কি আদরের সবই তোমার জানা
একটু না হয় দেখো তারে বোনের মতো সোনা ।


স্বামী আমার দিনকানা সে রাতে দেখে তাই
সারাদিন কি করলাম আমি চোখে দেখে নাই।
এমনি করে মিনসে আমার সারা বছর ধরে
ভাবতে থাকে বৌটি আমার কাজ করে না ঘরে।


কষ্টে আমার দিন কাটে হায় দেখার কেহ নাই
বলুন এখন কবি সবাই আমি কোথায় যাই।
এই না হলো সমাজ আমার এইনা হলো পতি
সারাদিন যায় খেটে আমার তারপরও নাই গতি।