ইঁদুর বেটা আমায় রাতে জালাচ্ছিলো খুব
রোজ রাতে খাবার খেয়ে ভোরে দিতো ডুব।
বিশেষ করে কলা আমার প্রিয় এক খাবার
রাতের বেলা ঘরে ঢুকে করতো বেটা সাবাড়।


কি করা যায় ভাবতে থাকি ভাবার যে নেই শেষ
উপদ্রব ইঁদুর বেটার বাড়তো থাকলো বেশ।
রব্বানী মোর বাংলোর স্টাফ বললো মোরে স্যার
ধরবো তারে মারবো আবার করবো যে ছারখার।


কলের ভিতর কলা দেবো ঢুকতে দেবো পথ
ঐ পথেই ঢুকে ইঁদুর থামিয়ে দেবে রথ।
যে-ই না ইঁদুর ঢুকবে ভিতর অমনি কলের খটকা
উপর থেকে পড়বে নেমে পড়বে ইদুর আটকা।


রব্বানী তার কথামতো ইঁদুর মারার কল
পাতলো শেষে কলা দিয়ে বুঝলো ইঁদুর ছল্।
হুজুর এখন কলের মধ্যে করছে ঘোরাঘুরি
বলছে এখন দাও না ছেড়ে আসবো না আর ফিরি।


ক্লান্ত হুজুর কলের ভিতর করছে আহাজারি
ভাবছে এখন শেষ হয়েছে সকল জারিজুরি।
করেছি আমি তোমার ঘরে অনেক বাহাদুরী
পড়ছি ধরা সব গেছে হায় এখন কেঁদে মরি।  


দিচ্ছি আজি সবার সামনে দিচ্ছি যে কান মলা
আর খাবো না কারো কিছু খাবো না আর কলা।
একটু খানি কলার জন্য এত্তো বড়ো শাস্তি
কেড়ে নিয়ে জানটি আমার পাচ্ছো এতো স্বস্তি।


উজির নাজির সবাই হাজির পরিয়ে দিলো রশি
এক টানেতে বেরোলো জান দেখলো জগতবাসী।
হায়রে মানুষ সৃষ্টির সেরা দয়ামায়া নাই
কলা খাওয়ার জন্য আজি দুনিয়া ছেড়ে যাই।


কাঁদলো ইদুর বললো শেষে আজকে আমার ফাঁসি
দেখবে তোমরা ন্যায় বিচারে ফুটবে মুখে হাসি।
শেষ বিচারে দেখবে তোমরা দেখবে সবাই বসি
ফাঁসির জন্য তোমরা সবাই পরবে গলায় রশি।


ফুল বাগানের ফুলের মতো হাসবে আমার মুখ
ন্যায় বিচারে তুষ্ট আমি ভুলবো সবই দুঃখ্।
আজকে হাতে ক্ষমতা পেয়ে দিলে আমার ফাঁসি
দিলে ফাঁসি মুলো চোরকে লজ্জা কি নাই ছি!ছি?


দূর্বলেরে মারতে তোমার আনন্দের নাই শেষ
বেরিয়ে দিয়ে জানটি আমার দেখলে আহা বেশ।  
খাবার জন্য মানুষ কাঁদে কাঁদে পশুপাখি
ফাঁদে পড়ে কাঁদে ইঁদুর কাঁদে তাহার আঁখি।


প্রকাশ কাল-
সময়-১৫-৫৬ মিনিট
বাংলা # ০৫ চৈত্র ১৪২৭
ইংরেজি # ১৯--০৩--২০২১


প্রকাশ স্থান -
বাংলো
জেলা ও দায়রা জজ
সুনামগঞ্জ