একদিন তুমি ও আমার মতো শুকনো নদী হয়ে যাবে
পড়বে মনে তোমার তুমি ও স্রোতস্বিনী ছিলে একদিন
এ বাংলার বুকে


এখন তুমি শুধু ঘাস আর ঘাস দুবলা ঘাসে ছেয়ে গেছো
তুমি হে স্রোতহারা নদী
ছলাৎ ছলাৎ শব্দ করে কেউ আর আসে না এখানে এখন
নৌকা বাইতে
তোমার তীরে আর ভেড়ে না মাঝির নৌকা
এখন আর জল নেই জল নেই নেই কোনো স্রোত তোমার
ঘাস বিছানো নদীতে
আর তোমার স্মৃতিময় নদীতে
এখন একলা তুমি ভীষণ৷ একলা হ'য়েই কাটিয়ে দেও
তোমার সারাবেলা
এখন আর কেউ খোঁজ রাখেনা তোমার


বৃষ্টিভেজা মূহুর্তের স্মৃতি হাতড়েই বেঁচে আছো তুমি
একান্ত নিজেকেই আঁকড়ে ধরে
মনের অজান্তেই ঝরে যায় হৃদয়ের গভীরে আগলে রাখা
ফুটন্ত গোলাপ
সময়ের গন্ডি পেরিয়ে গড়িয়ে পড়ে গণ্ডদেশ বেয়ে হৃদয়ের
অশ্রুজল


এখন তুমি
কথা বলো পাখির সাথে ঘাসের সাথে ঘাসে বসা ফড়িং
আর শালিকের সাথে পাতা কুড়ানি বুড়ীর সাথে
গরু চারানো বাশুরিয়া রাখালের সাথে


তোমার শুকনো নদীর তীরে এসে দাড়ায় না আজ আর
কেউ
তোমার নদীতে আজ আর ওঠে নাকো ঢেউ
দেখতে পায়না সুদুরে ভেসে যাওয়া কোনো নৌকা আজ
আর কেউ
এখন তোমার শুকনো নদীতে শুধুই ঘাস আর ঘাস


পাবে না খুঁজে আর সেই স্রোতস্বিনী নদী তোমার
আষাঢ় শ্রাবনের প্রবল বর্ষণ আর ঢেউ খেলবেনা তোমার
নদীতে আর কখনো
পাবে না খুঁজে আর সেই নৌকা আর দাঁড় বেয়ে ছুটে চলা
সেই নৌকার মাঝিকে
পাবে না শুনতে আর কোনো গান তার কন্ঠে
রবে তুমি রবে শুধু একা এই পৃথিবীর পরে শুধুই শুকনো
নদীর ঘাস বন আর লতা পাতা হয়ে
স্রোতহীন হে নদী আজ তুমি শুধুই ঘাস আর ঘাস