অনেক আশায় গেলাম শহর ফেলে সবুজ গ্রাম
এখন দেখি শহর আমার ভেজালেরই ড্রাম।
খাদ্য খাবার ভেজাল সবই ভেজাল ছাড়া নাই
ভেজাল খেয়ে জীবনহারা কোথায় যাবো ভাই?
বাসে চড়লে পকেট মারে রিক্সায় চড়লে ছুরি
ফুটপাতে ভাই হাটলে একা বিপদযে হয় ভারী।
বিদ্যুৎ এরই ভুতুড়ে বিল দরোজায় নক করে
সাথে সাথে বিল না দিলে কাটে লাইন ওরে।


হাসপাতাল আর মেডিকেলে বিলের নাহি শেষ
ভর্তির আগেই পৌঁছে যাবে বিলের গোটা দেশ।
বিলের পাহাড় মাথার ওপর পড়বে চাপে বসে
পারবে না তো বলতে কিছু দিতে হবে শেষে।
লোকের ভীড়ে যায়না হাটা পায়ে চলা পথ
সবই যেনো হাট বাজার বসবে সকল রথ।
খাদ্য খাবার নাইরে ফ্রেশ ফরমালিনে ভরা
এসব খাবার খেলে আবার জীবন যাবে ত্বরা।


আশা নিয়ে এসেছিলাম বাঁধবো সুখের নীড়
ঘুন ধরেছে নীড়ে আমার ঠিক ধরেছে চীড়।
শহর আমার ভাল্লাগে না গ্রামেই আমি যাবো
মা জননী পল্লীর কাছেই সবই আমি পাবো।
চাকচিক্যে আর ঝনঝনানি লাগেনা আর ভালো
মন বলে তাই গ্রামে ফিরে চলোরে ও মন চলো।
এক দালানে বসত করি পাশাপাশি বাসা
খোঁজ করেনা আসেনা কেউ ভাঙে মনের আশা।


ভালোবাসা প্রেম প্রীতি শহরে খুবই কম
ইটের পরে ইট বসিয়ে কীট নিয়েছে দম।
আমার গ্রাম মায়ার গ্রাম সোনার চেয়ে দামী
ছোটো বেলা ছিলাম যেথায় যাবো সেথায় আমি।
গ্রামের রূপে পাগল আমি সবুজ আমায় ডাকে
ধানের ক্ষেতে ঢেউ খেলে যায় মাঠের বাঁকে বাঁকে।
পাখপাখালি গ্রামে আমার ধরে সুখের গান
তাদের সাথে পল্লীবালা ধরে মধুর তান।


নির্ভেজাল এই ভালবাসা কোথায় গেলে পাবো?
গ্রামই আমার মা জননী গ্রামেই ফিরে যাবো।
গুবাক তরু কলাগাছে হাতছানিতে কয়
ভালোবাসার জন্য তোরা আমার কাছে আয়।
দেশী মাছের কোলাহলে জেলের ঝাকা ভরা
গেলে সেথায় মন ভরে যায় মন হয় আকুল পারা।
সবুজ শ্যামল শাকসবজী আর তাজা তাজা ফল
গ্রামের সকল হাটে পাবো চলরে সবাই চল্।


শহর ভরা ফরম্যালিনে গ্রামের কোথাও নাই
শহর থেকে পালিয়ে চলুন গ্রামে ফিরে যাই।
পুকুর আছে কাটবো সাতার নাইযে কোনো বাঁধা
দেখবে সেথা দাঁড়িয়ে সবাই সকল মানুষ সাদা।
চিকচিকিয়ে আলো ঝরে অন্ধকার হয় দূর
মনের কালো নাইরে সেথায় শুভ্র সাদা পুর।
তাড়াতাড়ি চলোনা ভাই গ্রামে ফিরে যাই
গ্রাম ছাড়া এ শহরে আর বাঁচার উপায় নাই।


তারিখ-
বাংলা-১৯ চৈত্র ১৪২৮
ইংরেজী-০২-০৪-২০২২
সময়ঃ ২১-৩৫ মিঃ
স্থানঃ
বাংলো-জেলা ও দায়রা জজ
সুনামগঞ্জ