ফিরে আসে বারবার দেশে ফেরে মানুষ
শেকড়ের টানে দেশে ফেরে কতো মানুষ
শান্তির আশাতে কতো দেশে ঘোরে
দেশ হতে দেশান্তরে ঘুরে দেশে ফেরে। 


এই ফেরা হৃদয়ের নেই কৃত্তিমতা
যেথা যাও যেথা থাকো বঙ্গমাতা
সুখ আর শান্তি তে বিমানে ভেসে
উড়ে যায় পছন্দের দেশে বিদেশে।


আইন আর রীতি নীতি কঠিনের দেশ
কঠিনেরে ভালোবেসে থাকে সেথায় বেশ
রাজার মতো থাকে দেশে হাউজ হেল্প কতো
বিদেশে সেল্প হেল্প করে নিজে শতো।


তারুণ্য  যৌবন আর জীবনের শেষে
কাটিয়ে দেশে দেশে আসে স্বদেশে
সুখ আর শান্তির কবুতরে ভাই
স্পর্শের ছায়া পেতে ঠাঁই খুঁজি তাই।


দেশ ছেড়ে কতো দেশে আমরা বেড়াই
সুরম্য গাড়ী বাড়ি সুখেতে বানাই
জীবনের সিংহভাগ বিদেশে কাটাই
বার্ধক্যে নিরুপায় দেশে ফিরি তাই।


কানাডা আমেরিকা লন্ডনে কতো
কতো লোক গেছেরে গেছে শতো শতো
কষ্ট আর সাধনায় সাজিয়েছো কতো
ঘরখানার পাশে দেখো পাখি বসে শতো


জানালার পাশে বসে হেয়ালি সময়
শুনেছো গাছের পাখি কতো গান গায়
সুসজ্জিত ড্রইং আর ডাইনিং এর আর্ট
যায় না কো ভোলা কভু আলনার শার্ট।


সুন্দর বাড়ি গাড়ী পরিচ্ছন্ন পথ
সবুজের সমারোহে শান্তির রথ
মাটি আর মানুষের জন্মভূমির দান
ভুলতে যে পারে সে দেশের কে জন?


চাকুরী বাকরী বানিজ্য আর শিক্ষার জন্যে
কতো জনায় বিদেশ গেছে গেছে জনে জনে
গেছে যারা বিদেশে সাগরের তীরে
বাজায়নারে একতারা শুধু সুখ ঘিরে।


সুখ আর দুঃখ্ মিলে সংসারের খেলা
এরই মাঝে খোঁজে তারা মিলনের মেলা
বিদেশে থাকলেও মন থাকে দেশে
ক্ষণে ক্ষণে কাঁদে মন চলো যাই দেশে।


তারুণ্য যৌবন আর বার্ধক্য শেষে
শরীর মন টানে শুধু টানে স্বদেশে
গাড়ী বাড়ি ফেলে শেষে মন ডেকে বলে
গাছের জীবন শিকড় ছাড়া কেমনে বা চলে।


জানালার পাশে গাছে পাখিদের গান
ছেড়ে আসতে কাঁদে আঁখি কাঁদে আঁখি জল
কেউ ফেরে ঘরে আর কেউ থাকে পড়ে
এভাবেই জীবনের চাকা গুলি ঘোরে।


প্রকাশস্থানঃ
বাংলো
সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ
সুনামগঞ্জ


প্রকাশকালঃ
সময়-০১-৫৯মিনিট
বাংলা-১১ ফাল্গুণ ১৪২৭
ইংরেজী-২৪-০২-২০২১