আমাদের ফজা ভাই বয়স আশি ছুঁই
যাকে পায় তাকে ধরে কেরে বেটা তুই?
লাঠি নিয়ে থাকে বসে রাস্তার মোড়ে
লোকজন নাহি পেলে মাথা তার ঘোরে।


ছেলেপেলে যুববেটা বুড়ো থাকে দূরে
দেখা নাহি দেবে তারা যায় পথ ঘুরে।
একবার পড়লে ধরা তিন ঘন্টার বেশি
থাকতে হবে তার কাছে তবেই ফজা খুশী।


বলবে কথা ইচ্ছে মতো মুন্ডুমাথা নাই
শুনতে হবে বাধ্য হয়ে বলছে ফজা ভাই।
বলবে গল্প অর্থ ছাড়া শুনতে হবে তাই
না শুনলে ফজার গল্প রক্ষা কারো নাই।


ডায়াবেটিসের রুগী ফজা নাস্তা খাবে কম
ষাটখানা রুটি মাংস দশ কেজির ও কম।
পঞ্চাশটা ডিম আর হালুয়া পাঁচ কেজি
সবজি ডাল পেলে ভালো সাথে একটু ভাজি।


দুপুরে চাই অল্প খাবার ত্রিশ প্লেট ভাত
মন তিনেক মাছ মাংস করবে ধুলিস্যাত।
বিকেলের নাস্তা মাত্র তিন কেজি দই
চিড়ে নারকেল পাঁচ কেজি এতেই হবে সই।


রসগোল্লা বিশ কেজি হয় যে একটু কম
টপটপাটপ দেবে মুখে ছাড়বে না যে দম।
সন্ধ্যা হলে রাতের খাবার চায়যে ফজা ভাই
বিরিয়ানি রাতের খাবার লিষ্টে থাকা চাই।


ত্রিশ প্লেট কাচ্চি বিরিয়ানি রাতের খাবার চাই
থাকবে সাথে ভুনা মাংস বিশ কেজি তাই ।
ফজা ভাইয়ের ওজন কম মাত্র পাঁচ শো টন
ধরে তারে তুলতে লাগে লোক ত্রিশ  জন।


ভুড়ি তার দেহ থেকে দশ মাইল দূরে
গোপাল ভাড়ের ভুড়ির মতো রাখলো ফেলে কেরে?
হাতির মতো দেহ তার নয়মন খাবার
দিলে খায় সাথে সাথে নিমেষেই সাবার।


চিত পটাং ফজা ভাই আকাশের নীচে
ত্বরা করে আনলো ডাক্তার অক্কা না পায় পিছে।
অবস্থা তার গুরুতর বললো ডাক্তার ভাই
এ যাত্রায় ফজা ভাইয়ের রক্ষা যে আর নাই।


ফজা ভাইয়ের ওজন কম পাঁচশো টনের বেশি
সে কারণে খায় সে কম টন টন কষি।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ফজার জুড়ি নাই
কম খাবার খেয়ে ফজা খুশী থাকে তাই।


ডায়াবেটিসের কারণে তার ফেললো কেটে পা
বললো সবাই এবার ফজা ইচ্ছে মতো খা।
শোনা গেলো হঠাৎ করে মোদের ফজা নাই
দাফন করবে কবরেতে লোক কোথা পাই।


এমন সময় আনলো ক্রেন তুলতে ফজার দেহ
রাখলো তারে কবরেতে থাকলো না আর কেহ।
এ জগতে এমন লোকের অভাব নাহি আছে
বেশী খেয়ে বাঁচবে তারা মরবে না যে পাছে।


খেতে হবে বাঁচার জন্য পরিমিত খাও
খেতে খেতে ডুবিও না তোমার ভাঙ্গা নাও।


প্রকাশ কাল-
সময়-১৩-৫৪ মিনিট
বাংলা # ০৬ চৈত্র ১৪২৭
ইংরেজি # ২০--০৩--২০২১


প্রকাশ স্থান -
বাংলো
জেলা ও দায়রা জজ
সুনামগঞ্জ