এই তো সেদিন এলাম এ সুন্দর পৃথিবীতে
চোখ খুলে দেখতে পেলাম না
মাছরাঙা পাখিটির আকষ্মিক ছো মেরে মাছ ধরার দৃশ্য
পাহাড়ের ঝর্ণার ছন্দময় স্রোতধারা
বাংলার প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য
ঘুঘু পাখির সুললিত ধ্বনি যুক্ত ঝুমুরঝুমুর তালে গেয়ে ওঠা গান
সারি সারি ধানের মাঝে পূর্ণ যৌবনা বর্ষায় বেড়ে ওঠা কলমিলতা
দেখতে পেলাম না বিলের আগাছার ঢিবিতে
ডাহুক পাখির খরকুটো দ্বারা সযত্নে তৈরি করা
বাসা
মন ভরে শুনতে পেলাম না ঝিঁঝি পোকার গান
আর বর্ষার ব্যাঙের ঘ্যাঘু ঘ্যাঘু ডাক
বসতে পারলাম না গ্রীষ্মের ভরদুপুরে আমতলায় ঝিরিঝিরি বাতাসে
দেখতে পেলাম না নৌকার মাথায় বসে নদীর তীরে স্নানরতা কৃষাণী কে
দেখতে পেলাম না বৃষ্টির দিনে পাড়ার ছেলেদের আম কুড়োবার ধুম
কৃষাণীর চাল থেকে কুড়ো ছাটার দৃশ্য


এরি মাঝে
দেখতে দেখতে হঠাৎ করেই চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গেলো
স্পষ্ট কিছুই দেখতে পাই না এখন
ইতোমধ্যে ই শেষ হয়েছে আমার কৈশোর যৌবন
বার্ধক্যে জর্জরিত আমি আজ
মাথার কেশ উড়িয়ে চলেছে আজ সময়ের ধুসর পতাকা
এক নিমেষেই পৌঁছে গেলাম জীবনের অন্ধ গলিতে
সান্ধ্যকালীন পিদিমের তেল ও ফুরালো দ্রুত
ফুরিয়ে যাবার পথে আজ জীবন প্রদীপ ও


কি করে ভালোবাসবো তোমায় বলো?
এতো অল্প সময়ে কি ভালোবাসা যায়?
তোমার আঁখি পানে তাকালেই কেটে যায় কোটি
কোটি বছর
তোমার ওষ্ঠে মাখা লাল লিপস্টিকের দিকে তাকালেই কেটে যায় হাজার বছর
তোমার পেছনে ঘুরতে ঘুরতে কেটে যায় আমার শতো সহস্র বছর


সেখানে এই অত্যল্প সময়ে তোমাকে কিভাবে
ভালোবাসবোো বলো?
তোমাকে ভালোবাসতে হলে লাগবে আমার হাজার হাজার কোটি বছর
হে ধরিত্রীপুরের চিরকালীন অধিপতি তুমি আমার নীলাকে
ভালোবাসার জন্য দাও পৃথিবী ধ্বংস না হওয়া অবধি অফুরন্ত সময়
তোমাকে ভালোবাসার জন্য চাই না ফুরানো সময়
তারপর ও মনে হবে তোমাকে ভালোবাসার জন্য
এ যেনো সেকেন্ডের মতো
স্বল্পতম কোনো সময়!