খাল বিল নদী নালা ছিলো যতো আগে
গেছে তারা চলে আর গেছে সব ভেগে
আমাদের কথা আর নাই তাদের মনে
কেটে যায় সারাবেলা কেঁদে ক্ষণে ক্ষণে।


মাছে মাছে ভরা ছিলো খাল নদী বিল
মাছ ধরে খেতাম আর খেতো বক চিল
এখন আর নাই কোনো খাল বিলে পানি
কোথা পাবো মাছ আর কোথা পাবো খানি?


জলাশয়ে জল আর বিল ভরা পানি
কোথা গেলে পাবো বলো কথা সেই খানি?
খাল বিল জলাধারে পানি নাই যেথা
শিং কৈ শোল মাগুর পাবো আজ কোথা?


মাছ ধরে খেতাম আর বেচতাম দরে
চলতাম সুখে দুখে সারা বছর ধরে
জল যদি নাহি থাকে মাছ পাবো কোথা?
মাছ নাহি পেলে বলো বেচবো কি সেথা?


জল থাকে জলাশয়ে মাছ থাকে জলে
জল যদি নাহি থাকে মাছ কিসে মেলে?
শুকিয়েছে জলাশয় খাল বিল নদী
মাছগুলো গেছে মারা গেছে নিরবধি।


জল নাই মাছ নাই ধরিব কি হায়?
আয় নাই রুজি নাই খাবো কি কোথায়?
রয়না মাছ খয়রা মাছ পুটিমাছ গুলো
সময়ের প্যাচে পড়ে কোথা চলে গেলো?


তাজা তাজা মাছগুলো ছিলো ঝাকাভরা
ডাকাডাকি নাচানাচি কি পাগলপারা
কোথা গেলো পুতা আর কোথা গেলো দাদা
লাগলো সব ভেবে আজ গোলকধাঁধা।


মাছধরা জাল আর নাই জেলের ঘরে
ঘুনি চারো খলখলে কেঁদে আজ মরে
উচা আজ ছিড়ে গেছে বড়শী তো বাঁকা
চারপাশে তাকাই আর দেখি সব ফাঁকা।


এলাকার যতোসব জ্ঞানী গুণী লোক
কোথা গেলো তারা সব নেয়নাযে খোঁজ
দুঃখ আর দুর্দশা দেখে নারে কেউ
কাটা না পেয়ে বিড়াল করে মেউ মেউ।


কোথা যাই কি করি ভেবে না পাই কুল
দেখিনা আর কোথাও গোলাপেরই ফুল
হাড়গুলো শরীরের শুধু যায় দেখা
এ যেনো বিধাতার নিজ হাতে আঁকা।


বাংলা-১৭ চৈত্র ১৪২৮
ইংরেজী-৩১-০৪-২০২২
বাংলো-জেলা ও দায়রা জজ
সুনামগঞ্জ