জীবনের সময়ে আমি দেখলাম কতো গাছপালা ঝাউবন
নরম রোদের খেলা
দেখলাম উঁচু হ'য়ে তীরঘেষে আছড়ে পড়া সমুদ্রের ঢেউ
দেখলাম সামুদ্রিক চিলের ওড়াউড়ি আনন্দের কোলহল
তাদের
মন ভ'রে দ্যাখেনা তো কেউ
শুনলাম জলরাশির সাথে একাত্ত হ'য়ে শুয়ে থাকা
প্রবালের নীরব কান্না
আকাশে ও উড়লাম কতো
গেলাম মেঘের দেশে
দেশ হতে দেশান্তরে
ছুটলাম নির্বিকার কতো
বাচ্চার কান্নায় একটু চেয়ে নেয়া ঘুম ভাঙ্গলো কতো
গভীর ঘুমে অচেতন আমি চোখ ডলতে ডলতে
বাচ্চাকে সামলাতে হিমশিম খেলাম কতো
অবলোকন করলাম তা-ও আমার নির্বিকার এ চোখে
সাজিয়ে গুছিয়ে ড্রেসিং টেবিল পরিপাটি করে রাখলাম
ঠিক আপন মনে
গুনগুনিয়ে গানও করলাম টেবিলের সামনে দাড়িয়ে কতো
কর্তার সন্তুষ্টি পরখে পলক মেলিনি আঁখির
থেকেছি সতর্ক হয়ে য্যানো এক সীমান্ত প্রহরীর
করলাম সবই ক'রে গেলাম শুধু ই সকলের তরে
পেলাম না সময় শুধু আমার নিজের মতো ক'রে
নিজস্ব ভূবন আর আপন ঘরে
জীবনের অঙ্ক খাতাটি আজ বড়ো বেখাপ্পা মনে হয়
মিললোনা মিলবেনা অঙ্কটি আর
কি আছে আমার!
যে স্বপ্নবীজ অঙ্কুরিত হয়েছিল সেই
শৈশব কালে
যে স্বপ্ন দেখে আসছি সেই আদিকাল ধ'রে
সেসব স্বপ্নরা মার খেলো আজ
পৃথিবীর কঠোর নিয়মের বেড়াজালে
আমার স্বপ্নরা আজ অসহায় খড়ায় পোড়ে
দিনশেষে হেভি শাওয়ার নিয়ে পেটে
কিছু দিয়ে
নিজের প্রিয় বিছানায় গেলে
মনে হয় পেলাম তৃপ্তি কিছু এ ভূবনে
শুধু আমার এ দুনয়ন মেলে
জীবনের পাওয়া না পাওয়ার হিসেবের ঝুলি খুলে দেখি
রাতের বিছানায় শুধুই একা
আমায় পরখ করে না-কি সেও শুধু একা
অশ্বগতিতে ছুটছি তো ছুটছি সেই সীমান্তের ওপার থেকে
দ্রুত গতির অশ্বর গোড়ালিতে আটকে গ্যালো
অনাকাঙ্ক্ষিত পাথরের আকর
লুটিয়ে পড়লো সে সটান হ'য়ে
ছেড়ে দিয়ে হাত পা চারিদিকে তার
এ জগতে শুয়ে গ্যাছে পড়ে গ্যাছে যে একবার
উঠবেনা আর সে
শক্তি নেই আর তার উঠে দাড়াবার