শীতের কুয়াশা ঘেরা জীবনের জন্য এক গ্লাস অন্ধকার হাতে ক'রে বসে আছি কাঁঠাল ছায়ায়
চকচকে রোদ খেয়েছি ইচ্ছেমতো জীবনভরে
ইরেজার দিয়ে বারবার ঘসে জীবনের সকল ধুলোবালি মুছে দিয়েছি চিরতরে
নজরুল ফররুখ শামসুর রাহমান মাইকেল জীবনানন্দের সাথে হেটেছি অনেক
অনেক হেঁটেছি আমি
পৃথিবীর এ প্রান্ত হতে ও প্রান্তে যতদূর চোখ যায়
ঘুরেছি তাজমহল নায়াগ্রার জলপ্রপাত পর্যন্ত
মধ্যরাতে পদ্য লিখে নীল সাগরে সাতার কেটেছি
কতোদিন কতো কতোবার ইয়ত্তা নেই তার কোনো
গাছের ডালে বসে পাখিদের সাথে গান গেয়ে অকস্মাৎ উড়ে গেছি নীল আকাশে
টিএসসির লনে বসে নীলার সাথে ঘাস ছিঁড়েছি
ছুড়ে দিয়েছি তার মুখে নির্বিকার
শতবর্ষী বুড়ীর লাঠি হাতে কুজো হয়ে পথচলার দৃশ্য অবলোকন করেছি কতোবার
ভোরবেলা শিউলি ফুলে ডালা ভরা মেয়েটির চোখ এড়ায়নি ভুলেও কখনো  চোখ পড়েছে চোখ তার চোখে তখনো
রঙ্গিন জীবন আজ ফিকে হ'য়ে গেছে
কতো আর কতো রঙিন রবে আমার এ নগন্য জীবন
যতোটা ফিকে হয়ে যায় ভোরের আলোয় উদ্ভাসিত দিনের আলো
রক্তিম আভার আবডালে ধীরে ধীরে দিন ঢুকে যায় প্রকান্ড এক অন্ধকার পাহাড়ের গুহায়
দিন শেষে অন্ধকার নেমে আসে শীতের কুয়াশার মতো
আমি ও কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে একদিন হারিয়ে যাবো এ পৃথিবী ছেড়ে
ঝাপসা ভেজা চোখে খুঁজে পাবে নাকো আমাকে আর কেউ কোনোদিন এ ধরাতলে