এই তো সেদিনের কথা,সহস্র আবেগের ঘ্রাণে মগ্ন হয়ে
হিমেলের সাথে এ জীবন সমুদ্রের যাত্রা শুরু,সেই থেকে
ভেসেই চলেছি দিশেহারা নাবিকের মতো,পেজা পেজা
তুলোর মতো নরম মায়াভরা মেঘ,সে ও তো ভেসে যাচ্ছে
ঠিকানাহীন গন্তব্যে,কোথায় যাবে নেই তার জানা


আমি ঐ দূর আকাশ কে মুঠোবন্দী করতে চাইনি,করিনি
প্রশ্ন কোনো ঐ নিবিড় হেলেদুলে উড়ে যাওয়া মেঘেরকাছে
এইতো আছি আমি,ছেলেমেয়ে আর হিমেল
কিখেতে পছন্দ করে,ভালোবাসে,খায়,সবই খোঁজ রাখি
জানি আমি,এ যে আমার দায়িত্ব


কিচেনে প্রচন্ড গরমে ঘামের জলে ভিজে সাবাড় হই
নোন্তা ঘাম ওষ্ঠে চুমু খেলে আঁচলে জড়িয়ে নেই,মুছে
ফেলি যতোটুকু তার.তবুও ভুলি না তাদের পছন্দের
খাবারের কথা,শতো কষ্টেও কিচেনে যাই,রান্না করি সব
পছন্দের খাবার,বেড়ে দেই নিজ হাতে,সে খায় আর শতো
আরামের ঢেকুর তোলে,ডাইনিং টেবিলে বসে বসে পা
দুলিয়ে খায় আর শিলার গল্প বলে


ছেলেটা খুঁতখুতে,খাবারের ব্যপারে ছোটোখাটো ইতিহাস
গড়ে ফেলেছে সে,আলু খায় না,খুঁজে খুঁজে তরকারি থেকে
আলুগুলো বের করে ফেলে দেয়,তবে ইলিশ মাছ আর
মুরগীর মাংস খেতে খুব পছন্দ করে সে,মেয়েটা আমার
পুতুলের মতো,ভীষণ সৌখিন সে,খেতে না পারলেই বরং
খুশী,তবুও,খাশির মাংস,কৈ মাছ ভোনা,খুব পছন্দ করে সে
এই তো আছি বেশ


ছেলে-মেয়ে,হিমেল সকলের পছন্দের খাবার তালিকা
সবই আমার জানা,মুখস্থ,কি কি তা জানি আমি,জানি
আমাকে জানতেই হয়,আমি না স্ত্রী,আমি না মা,তাদের
পছন্দের খাবার রান্না করি,বেড়ে দেই,তারা খায় পরমানন্দে
আর তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলে


কই তারা তো কখনো জানতে চায় নি,কি খাবার আমার
পছন্দ,কি কি খেতে ভালোবাসি,আর জানলেই বা কি
তারা কেউ তো আর রান্না করে খাওয়া বে না আমাকে
স্ত্রী ও মা আমি,ঘেমে জবজব শরীর নিয়ে রান্না করি তাদের
জন্য,কই আমার ঘরের পোষা প্রিয় বেড়ালটি ও তো জানতে
চায় নি,কি খেতে পছন্দ করি আমি,কি কি ভালো লাগে
আমার


কষ্টের বলিরেখার নাভিশ্বাসে আমি ভেসে যাই সাগরের
নীল জলের ঢেউয়ের মতো,দুঃখের ইতিহাসের ঠিকানায়
মাঝে মাঝে ঢুকে পড়ি অনুমতি ছাড়াই,ওলট
পালট করি পাতাগুলো,পুরানো পাতার গন্ধ শুকি বারবার
স্মৃতি রোমন্থন করি,হাতড়াই আর ডুবে যাই দুঃখের অথৈ
সাগরে,এইতো আছি আমি!