মনের সুখে এক দুপুরে খেলছিলো এক মেয়ে
বয়স তাহার সাত কিম্বা আট
তাইনা দেখে লালসাতে কাঁপছিলো এক বুড়ো
বয়স তাহার পাঁচ প্লাস ষাট।


বেসরকারী স্কুল থেকে রিটায়ার করা বুড়ো
মনে মনে আঁকে ছবি কি করা যায় খুড়ো
মেয়ে তাহার পুতনি লাগে বুড়ো তাহার দাদু
ডাক দিয়ে কয় আয় না ঘরে দেখবি আজি যাদু।


দাদুর কথা বিশ্বাস করে যে-ই না ঢুকলো ঘরে
অমনি দাদা দরোজাতে খিল মারে জোর করে
আহা আহা করছো কি হায় দাওনা আমায় ছেড়ে
পশুর কাছে পড়ছো ধরা ছাড়া কিসের তোরে?


চেচামেচি যতোই করো লাভ হবে না কোনো
আজকে যবে পড়েছো ধরা পশুর কাছে জেনো
মুখ চেপে খুললো কাপড় লাজ শরম নাই
কাজ সেরে বললো পশু এবার আমি যাই।


দাদু তখন নেই রে দাদু শয়তান রূপী পশু
নির্বিচারে অত্যাচারে মারলো ধরে শিশু
শিক্ষক নামের কলঙ্ক সে করলো পূরণ সাধ
রক্তগঙ্গা বইছে ঘরে মানছে না যে  বাঁধ।


কাজ শেষে বললো বুড়ো মেরে ফেলবো তোকে
বলিস যদি কাউকে আবার জানে যদি লোকে
গোসল করবি ফ্রেস হবি হয়নি যেনো কিছু
মুখ খুললে আবার কিন্তু লাগবো তোরই পিছু।


রক্ত গঙ্গা যাচ্ছে বয়ে কাঁপছে মেয়ের দেহ
মা ভাবছে জোকের রক্ত ভাবছে না আর কেহ
জন্মদিনের পোশাক করে দেখলো নরপশু
মানব রূপী শয়তান তাহার শেষ করেছে শিশু।


অপারেশনে ফেললো কেটে শিশুর বিশেষ অঙ্গ
মানব বন্ধন মিছিলে তাই উঠলো কেঁপে বঙ্গ
মাষ্টার হুজুর দাড়িওয়ালা গেলেন এবার জেলে
খুঁজতে থাকে ফন্দি ফিকির কেমনে ছাড়া মেলে।


বিনিময়ে পেলো সনদ হয়নি শিশুর কিছু
ছাড়া পেলো জেল থেকে লোক ছিলো তার পিছু
মাইক্রো একখান ভাড়া করে ছুটলো বাড়ির পানে
সারি সারি মোটরসাইকেল চললো তাহার সনে।


জানালা দিয়ে ভি দেখিয়ে হাসতে থাকে পশু
হুইসেল আর বিউগল সুরে কাঁদতে থাকে যিশু
লজ্জা শরম নাই যে তাহার কেমনে দেখায় মুখ
কাঁদে মেয়ে এলাকাবাসী কেঁদে ভাসায় বুক।