ছয় দফার ইতিহাস বাঙালীদের জানা
তবুও যে বলতে গেলে কোথাও নেই মানা।
মাসের ত্রিশ দিনের মতো সাতই জুন ও একটি
কিন্তু সেথায় লুকিয়ে আছে ঐতিহাসিক ক্ষণটি।


বঙ্গবন্ধুর ছয়দফা কে হালকা ভাবে নিয়ে
বুঝলো শেষে ইয়াহিয়া বুঝলো শেষে গিয়ে।
ছয়দফা তো সনদ ছিলো বাঙালীদের বাঁচার
কাঁপিয়ে দিলো বাঙালী তাই পাকিস্তানের আচার।


রাস্তা ঘাট আর ঢাকা শহর কাঁপছিলো থরথর
ইপিআর-পুলিশ ছুড়লো গুলি আমজনতার পর।
ইয়াহিয়া বললো রেগে শেখ মুজিবের দফা
উড়িয়ে দেবো কামান দেগে কামানেই সব রফা।


ছয়দফার এ অনুরণন ধ্বনিত হলো দেশে
করতে গিয়ে প্রচার মুজিব গ্রেফতার হলো শেষে।
আমজনতা ছাত্র সবে করলো তারা পণ
ছাড়বে না তো কোনোভাবে ধরলো সবে তান।


তবুও সে বললো কথা অস্ত্রের ভাষায় আর
মোকাবেলা করতে গিয়ে হরতাল জনতার ।
শহীদ হলো মনু মিয়া শ্রমিক নেতা আর
সঙ্গে ছিলো এগারো জন সঙ্গে ছিলো তার।


অমরত্ব লাভ করে তাই মুগ্ধ হলাম আমরা
হারলো শেষে ইয়াহিয়া হারলো সবাই তারা।
সত্তর এ তাই জিতলো মুজিব জিতলো তারই দল
ছাড়লো না তো ইয়াহিয়া করলো ভারী ছল।


ছয়দফা তো স্বাধীনতার সর্পিল গতি ছিলো
আঁকাবাঁকা পথ ধরে তাই স্বাধীনতা এলো।
ঐতিহাসিক সাতই জুনের মোটামুটি এই
দিলাম কিছু তথ্য আমি এরচে বেশী নেই।


ছয়দফার এ সিড়ি বেয়ে পেলাম স্বাধীনতা
ভাঙলাম শিকল পরাধীনতার পেলাম জাতির পিতা।
ঐতিহাসিক সাতই জুনের ছেষট্টির এ কাব্য
আমজনতা ছাত্রসহ দেশের তরে ভাব্য।


লাল-সবুজের পতাকা ভাই এমনি আসে নাই
দিয়ে গেলো জাতির পিতা মনে রেখো তাই।