আমার এক বন্ধু ছিলো নির্মল তাহার নাম
শিশুর জন্য ছড়াকাটা ছিলো তাহার কাম।
কথায় কথায় কাটতো ছড়া যখন যেথায় যেতো
ছড়া কাটো ও ছড়াকার ব'লে সবাই ধরতো।


লেখা পড়ায় নাম মাত্র ছিলো বিএ পাস
আকামে সে বড়োই পাকা আসলে ছাইপাঁশ।
পারতো না সে দেখতে কারোর ভালো কোনো কাজ
আঙুল দিতো সুযোগ পেলে ছিলো না তার লাজ।


কচু দিলে মহানন্দে নিতো হাতে ক'রে
রান্না করে খেয়ে তাহার পেটটা যেতো ভ'রে।
পুরো মাথায় টাক ছিলো তার চুল ছিলো না মোটে
গোপালভাড়ের মতো তাহার পেটটা ছিলো বটে।


নাকের থেকে ভুড়ি তাহার গেছে হাঁটুর নীচে
খাবার খেতে বসলে নিতো গামলা গামলা যেচে।
চাকুরী ছিলো কেরানী গিরী কাটতো ছড়া খালি
শখ ছিলো তার কবি হবার সে গুড়ে হায় বালি।


সারা জনম সাধন করে লিখলো শুধুই ছড়া
তাহার দ্বারা হলো না আর কাব্য কিছুই করা।
কবি হবার শখ ছিলো তার সারা জনম ভর
মনের আশা পূরণ করা হলো না আর তার।


তবুও তার ভাব যায় না সে যে বড়ো কবি
আসলে তার হয়না কাব্য আঁকে ছড়ারছবি
কাব্য কিছু হোক বা না হোক অন্যের পিছু লাগা
কাম ছিলো তার একমাত্র গোড়া থেকে আগা।


ছড়া লিখে করতো বড়াই অনেক বড়ো কবি
ছড়া লেখাই ছিলো তাহার একমাত্র ই হবি।
এলাকার লোক জানতো সবাই লেখাপড়ায় কাবু
ছড়ালেখায় ভাব দেখাতো অক্সফোর্ডের বাবু।

বড়ো কোনো কবি না হ'য়ে ও লিখছি কাব্যাসরে
লিখছি শুধু হাবিজাবি কাগজের পাতা ভ'রে।
আছি আমি পাঠকের মতো সবার সাথী হ'য়ে
চারশোতম কবিতার মতো সকলের দোয়া নিয়ে।