এক সময়ে কুমার পাড়া কাঁচা মাটির গন্ধে
মাতোয়ারা থাকতো সদা মন মাতানো ছন্দে
ব্যস্ত থাকতো কুমাররা সব থাকতো স্বীয় কাজে
স্ত্রী তাদের থাকতো সাথে মরতো আপন লাজে।


হরেক রকম চাহিদা নিয়ে আসতো হাজার ক্রেতা
ঘুম ছিলো না রাতে তাদের ঘুরতো তাদের চরকা।
সাজিয়ে বসতো পসরা তারা মৃৎশিল্পের শতো
আনতো সব ই হাট বাজারে তৈজসপত্র যতো।


কুমারপাড়া থাকতো পূর্ণ হরেক রকম খেলনায়
বাহারি সব তৈজসপত্রে মাটির গড়া দোলনায়
বাপ দাদার এ শিল্প কর্ম জীর্ণ কিছু কুমার
রাখছে ধরে জীবন দিয়ে আজকে বেশুমার।


কুমোরপাড়া পল্লীতে আর পোড়া মাটির গন্ধ
আসে না আর নাকেতে আজ মিষ্টি মাখা গন্ধ
হারিয়ে গেছে পালপড়ার ওই কাঁচা মাটির গন্ধ
আধুনিক সব থালা বাসন করেছে সব বন্ধ।


মাটির ঘড়া হাঁড়ি পাতিল কলস সরাই মটকা
তৈরী করতে নেয় নি সময় লাগেনি তো খটকা
বাসন কোসন পেয়ালা খোরা নিত্য তারা গড়তো
পিঠে তৈরীর ছাঁচ ও তারা মনের মতো করতো।


মৃৎশিল্প প্রাচীন শিল্প কুমোর জাতির প্রাণ
আসুন বাঁচাই এ শিল্পকে বাঁচাই তারি মান
মাটি দ্বারা তৈরী শিল্প মাটি ই তাদের সব
মাটির মাঝেই খোঁজে কুমোর মাটির কলরব।


মাটির তৈরী জিনিস পত্র ঘরের কোণে কোণে
পাচ্ছে শোভা ঘর সংসারে গৃহিনীর সনে
বাঁচাতে হবে শিল্প কে আজ মৃৎশিল্পীর জন্য
বাঁচাতে পারলে ধ্বংস হতে দেশযে হবে ধন্য।


সৃজন করুন জেলায় জেলায় মৃৎশিল্পের বাজার
সচেতন করুন গ্রামবাসীকে উৎসাহ দিন আবার।


বাংলো
জেলা ও দায়রা জজ
সুনামগঞ্জ


প্রকাশকাল
সময়ঃ ০০-০৪মিঃ
তারিখঃ২০-০৭-২০২০ইংরেজী