কতো লেখাই তো পড়লাম এ জীবনে
কতো অপ্রকাশিত ভাষাও বুঝলাম কতোজনের
কতো বই ম্যাগাজিন বৃক্ষের পত্র পল্লবের ভাষা
আকাশের দিকে তাকিয়ে কতো তারা গ্রহ নক্ষত্রের ভাষা
বাড়ির পোষা বেড়ালটির দুঃখময় মনের ভাষা


কতো মানুষ নদ-নদী সমুদ্র-সৈকতের আনন্দ বেদনার ভাষা
বেদনায় মুষড়ে যাওয়া টিয়াপাখিটির মনের ভাষা
ভিখারির পকেটে রক্ষিত দু'টি আধুলি কেড়া নেয়া পাতি
ছিনতাইকারীর মনের ভাষা
বিধবার জমি জবর দখল কারী পাতি নেতার মুখের ভাষা
কতো রকম ভাষাই না পড়লাম আর বুঝলাম এ জীবনে আমার


কতোশতো ঘাসফড়িং এর হদয়ে লুকানো হাহাকার-শূন্যতা ও
টের পেলাম কতো
কতো ঝড়-ঝাপটা পেরিয়ে মেঘের দেশে গিয়ে মেঘবালিকার
বিষন্ন বদনে রেখাঙ্কিত দুঃখের ইতিহাস ও পড়লাম কতো


শুধু পড়া হলোনা তোমাকে প্রিয়া আমার
পারলাম না পড়তে তোমাকে মোটেই আমি
তোমার মুখের ছায়াকে চোখের পলককে
তোমার মুখের ওপর দিয়ে গড়িয়ে পড়া এলোমেলো চুলের
গোছা কে
তোমার চোখের চাহনী আর ঠোঁটের রক্তিম ভাষাকে
একেবারে ই পারলামনা প্রিয়া পড়তে তোমাকে আমি


যাকে সামনে করে নিষ্পলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম হাজার
বছর
তবুও পড়া হলো না আমার মায়াবীর মুখাবয়ব তোমার আর
মুখাঙ্কিত ভাষা চিত্র
পারলাম না পড়তে তোমাকে প্রিয়া
একদমই পারলাম না পড়তে তোমাকে আমি


বাংলা-১৪ চৈত্র ১৪২৮
ইংরেজী-২৮-০৩-২০২২
বাংলো-জেলা ও দায়রা জজ
সুনামগঞ্জ