প্রেমে একবার মজলে মন দ্যাখেনা কেউ মুচি ডোম
প্রেমে একবার পড়লে রাধা নয়তো বয়স কোনো বাঁধা।
শুনুন কিছু কিচ্ছা আমার শুনুন সবে ভেবে
প্রেমের ধারা কেমনে আসে আকাশ থেকে নেবে।
হুমায়ুন ছিলো ফেমাস দেশের সবাই তাকে চেনে
সাহিত্যে সে অমর বলে সবাই তাকে মানে।
শাওন ছিলো বন্ধু শিলার হুমায়ুনের মেয়ে
পরিচয় করে বাবার সাথে দিলো একদিন যেয়ে।
৫২ তে হুমায়ুন যখন পেলো খ্যাতির সিড়ি
দিলো তখন বিয়ের প্রস্তাব শাওন কে সে ছুড়ি।
শিলার ছিলো বান্ধবী সে ঘুরতো চারিপাশ
এসব দেখে হুমায়ুন তারে গলায় দিলো ফাঁস।
২৫ বছর বয়সী শাওন অবলা এক নারী
হুমায়ুনের রং মাখিয়ে সাজলো স্বয়ং বুড়ী।
বয়সের এ আকাশ পাতাল তফাত কভু তাদের
করেনি তো বিষাদ কভু আখির পাতা স্বাদের ।
সুবর্ণা এক সুন্দরী আর মিষ্টি মধুর নারী
তার সুবাসে ঘুরতো সউদ ঘুরতো পিছু তারি।
৩৪ এর সউদ সেদিন চোখের ইশারায়
বললো এসে ভাসবো দুজন ভাসবো সাগরময়।
তারপরে সে ভালোবেসে প্রস্তাব দিলো ছুড়ি
বললো রাজি থাকলে তুমি আকাশ যাবো ছাড়ি।
৫০ এর এ সুবর্ণা যখন উড়িয়ে দিলো ঘুড়ি
৩৪ এর সউদ তখন বানালো চচ্চড়ী।
মায়াবী মুখ সুবর্ণা আর ছোকড়া সউদ মিলে
আজো আছে মহাসুখে খায়নি বয়স গিলে।
টেন্ডুলকারের কথা আমরা বিশ্ববাসী জানি
সে যে ভালো ক্রিকেটার তা সকলেই মানি।
সুন্দরী এক মেয়ের সাথে এয়ার পোর্ট এ দেখা
প্রাণটি তাহার নিলো কেড়ে এক পলকে সখা।
টেন্ডুলকার তার চেয়ে ছিলো ৭ বছরের ছোটো
হেসেছিলো অঞ্জলি আর টিয়াপাখির ঠোঁটো।
বয়সের এ তফাত তাদের হয়নি কোনো বাধা
তবু ও যে ছুড়লো লোকে মিথ্যা কিছু ধাধা।
অবশেষে তারা দুজন করলো প্রেমের বিয়ে
আছে তারা মহাসুখে বাচ্চা গুলো নিয়ে।
বয়সের এ তফাত নিয়ে আছে বিয়ে অনেক
জানতে হলে ধরতে হবে সবুর আরও ক্ষণেক।
পপ তারকা নিকি জোনস আর প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার নাম
শোনেনি কেউ বলে যদি ছুটবে মাথার ঘাম।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আর নিকির প্রেম বিশ্ববাসী জানে
প্রিয়াঙ্কা বড়ো নিকি ছোটো এটাও সবাই মানে।
৩৬ এর প্রিয়াঙ্কা চোপড়া করলো বিয়ে জোনসকে
বয়স ছিলো ২৫ তাহার বিশ্ববাসী দ্যাখগে।
বিয়ের পরে তাদের জীবন বাজছে মধুর সুরে
হিংসে করে গঙ্গা তবু যাচ্ছে সরে দূরে।
ফ্রান্সের রাজা মাকোর কথা আমরা সবাই জানি
প্রেমে পড়ে টিচারকে সে করলো বিয়ে আনি।
২৫ বছর বয়সী মাকো বিয়ের কথা বললো
৫০ বছর বয়সী ব্রিজিত কান পেতে সব শুনলো।
অবশেষে করলো বিয়ে করলো তারা দোহে
দিন কাটে যে মহাসুখে কে বা সেটা দ্যাহে।
৩৩ এর প্রিন্স হ্যারী যুক্ত রাজ্যের জানি
ইউএস এ্যাক্ট্রেস মেগান ছিলো ৩৬ এর মানি।
করলো শেষে বিয়ে দুজন করলো তারা যেয়ে
ভাসিয়ে তারা সুখের তরী সুখের সারি গেয়ে।
ভালোবাসার প্রেম সাগরে ডুববে যে সব রাধা
বয়স কভু নয়কো তাদের নয়কো কোনো বাঁধা।
প্রেম আসে না বলে কয়ে হিসেব করে হয় না
জাতপাত আর ধনী গরীব বিচারে তা রয় না।
প্রেমে হয় অন্ধ সবে চোখ দুটি রয় বন্ধ
দ্যাখে শুধু অন্তরে সে হারায় আলোর ছন্দ।
বাংলো
জেলা ও দায়রা জজ
সুনামগঞ্জ
১২-০৬-২০২০
#সাজলো স্বয়ং বুড়ী=বুড়ী শব্দটি
এখানে রূপক ও কাব্যিক অর্থে
ব্যবহার করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে
সে বুড়ী নয়।
# ০৭,২৫, ৩৩, ৩৪, ৩৬, ৫০, ৫২
সংখ্যাগুলি দ্বারা বছর বুঝানো হয়েছে।