হে প্রিয় বসন্ধরা হে সুন্দর পৃথিবী আমার
এতো বিরাগ কেনো আজ তুমি আমাদের ওপর
আমরা তো তোমার রক্তের যোগ্য উত্তরাধিকার নেই
কি ভরসা নেই কি আশা আমাদের ওপর তোমার
তবে কেনো নিশ্চল সমুদ্রের জল
আজ স্থির দাড়িয়ে আছে


হে প্রিয় বসুধা আমরা তোমাকে নিয়ে লক্ষ কোটি
মাইল হেটে হেটে ঐ দূর নক্ষত্রের পানে যেতে
চেয়েছিলাম
মাপতে চেয়েছিলাম ঐ আকাশের সীমাহীন ঠিকানা
চেয়েছিলাম আকাশের তারার সাথে কথা বলতে
শুকতারাকে আমাদের ব্যথা জানাতে
ঐ দূর নক্ষত্রের কাছে তারার কাছে
আজ আর নেই কোনো প্রশ্ন আমার


নীরব নিস্তব্ধতার আপন বলয়ে
লুকিয়েছো কেনো তুমি আজ?
কেনো এতো বিরূপ তুমি আজ কথা বলো
হে সুন্দর পৃথিবী আমার থেমে গেছে কেনো তোমার
সেই স্বাভাবিক পথচলা আজ?


সমুদ্র আজ আর গায় না কোনো গান
চিল ও ওড়ে না ঐ সাগরের নীল সীমানায়
মেঠো চাষির পদচিহ্নে আজ আর অঙ্কিত হয় না
মুখরিত হয় না ফসলের মাঠ
দিকভ্রান্ত নাবিক আজ হারিয়েছেদিশা
থেমে গেছে নাবিকের ঐ দূর দিগন্তে
ছুটে যাবার ছেড়ে যাবার দূরন্ত হুইসেল


হে ধরিত্রীপুরের রাজাধিরাজ তুমি কবিতা হয়ে নেমে
এসো
জীবনানন্দের বনলতা সেনের মতো
আজ আর কোনো কথা নেই তোমার সাথে
ফিরে এসো তুমি হে সবাক পৃথিবী
আলো ঝলমলে পথে অবাক করে তুমি
ফিরে এসো আবার আমাদের কাছে
নতুন সূর্যের আলোর নিশানা হয়ে


কেনো তুমি ডুবে আছো নীরব নিস্তব্ধতার জলাভূমিতে
ঐ সূর্যের কাছ থেকে একটু আলো নিয়ে
পথ দেখাও হে পাঞ্জেরী আমাদের!
ঘন কুয়াশার চাদরে মুখ ঢেকে কেনো ভেসে যাচ্ছো
ঐ দূর আকাশে তিমির রজনীতে?