মাঝেমধ্যেই মেঘেরা এসে আমন্ত্রণ জানায়
ভাসিয়ে নিয়ে যায় তাদের দেশে
মেঘ সরে গেলেই আবার সামনের সবুজের
পরের অবারিত নীল জলরাশি
শরীর ও মনকে শান্ত করে দেয় মুহূর্তেই।


কোন শিল্পী যেন নিপুণ তুলির আঁচড়ে এঁকে
দেয় অফুরন্ত শান্তির এক বিমূর্ত ক্রিস্টাল


প্রচুর বাতাসের দোলায় নীলার শাড়ীর আঁচল
যেনো পতাকা হয়ে পৎ পৎ করে উড়তে থাকে
বাতাস মাঝে মাঝে আমাদের উড়িয়ে নিয়ে
যেতে চায়


সামনেই সমুদ্রের তটরেখা দেখা
মনে হয় কোনো এক শিল্পী তাঁর নিপুণ তুলির
আঁচড়ে আঁকাবাঁকা সমুদ্রের তটরেখাটি এঁকে
দিয়েছেন


সেখানে ইজি চেয়ারে বসে কফি খাই
আমি আর নীলা
এর চেয়ে শান্তির আর কী আছে জীবনে!


হয়তো বনের কোনো গুঞ্জন নেই এখানে
হয়তো নেই অবিরাম ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক
কোনো
হয়তো বনের মতো  বিভিন্ন পাখপাখালির
ডাক শোনা যায়না এখানে


তবুও সমুদ্রের গর্জন যেনো গেয়ে যায় সন্ধা,লতা
আর হেমন্তের সুরে সুরে
যেখানে নেচে যায় উদয় শঙ্কর তার স্বীয় ঢং
তাল আর লয়ে


দু চাট্টে সামুদ্রিক চীল প্লেনের মতো পাখা
মেলে উড়ে আর নামে
অবিরাম আঁছড়ে পড়া নীল জলরাশিতে মন
ছুয়ে যায় প্রতিক্ষণ!
............................................চলবে