তেল মারা বড়ো বিদ্যা যদি শেখা যায়
মারতে পারলে জায়গা মতো সবি হবে জয়।
স্কুল নাই কলেজ নাই কোথায় শিখবে তেল?
তেল মারতে ভুল করলে খাটতে হবে জেল।


তেল ছাড়া তো হয়না রান্না সে রান্না কে খায়?
খাবার সময় মেজাজ খারাপ ক'রে বসে রয়।
তেলের রান্না ভীষণ মজা যদি তেমন হয়
রান্না খেয়ে স্বামী আবার ঢোল বাজিয়ে কয়।


তেল মারা জব্বর কৌশল শিখতে হবে আগে
না শিখে কেউ মারতে গেলে খাবে তারে বাঘে।
তেল বড়ো শক্তিমান আর তেল বড়ো বিদ্যা
ড্রাম ভরা থাকলে তেল লাগে না আর টিদ্যা।


তেল দিতে জানলে তাহার সকল কাজই সোজা
তোমার পাশের তেল চাটুকার দেখলে যাবে বুঝা।
তেলের মতো মহা ঔষধ পৃথিবীতে নাই
তেল দিলে হয়না খুশী এমন কেহ নাই।


রাজা বলো মন্ত্রী বলো তেলে সবাই খুশী
তেল মারলে রাণী খুশী হয় যে রাশি রাশি। 
তেলের ফিকির জানলে এখন সবই পাবে তুমি
তেল ছাড়াযে তোমার জগত শুধুই বিরান ভূমি।


মজা করে রান্না করতে তেল দিতে হয় বেশী
এসব রান্না খেয়ে সবাই মন ভরে দেয় হাসি।
পচা রান্না ভাল্লাগে না তবুও মুখে হাসি
থাকে লেগে মুখে সদাই বৌকে ভালোবাসি।


তোমার রান্না সেরা রান্না এমন রান্না নাই
তোমার রান্না খেয়ে আমি দারুণ খুশী তাই।
ধরে না আর হাসি মুখে বৌ যে দারুণ খুশী
খুশীর চোটে আহ্লাদী বৌ কয়যে ভালোবাসি।


তেলের ছিটায় বস খুশী হয় কাজের নাহি বালাই
তেল মেরে তাই অফিস ফেলে যত্র খুশী পালাই।
তেল মারোনা তালে তালে সুযোগ খোঁজো তাই
মারতে পারলে কায়দা মতো সমস্যা আর নাই।


তেল মারলে টিকিট মেলে নির্বাচনের জন্য
তেলের সাথে টেল দিলে কর্তা যে হয় ধন্য।
ঘরের বৌ তেলে খুশী প্রিয়া খুশী বনে
তেল না দিলে বৌ এর মুগুর পড়বে ক্ষণে ক্ষণে।


তেল না দিলে কল চলে না চলে না আর বাতি
তেল দিয়ে তাই চলছে সবাই চলছে দিবা রাতি।
তেলের রাজার সকল কাজই হয় যে সহজ সাধ্য
কাজ করতে তাই কর্তা মশাই তেলের জন্য বাধ্য।


কৌশলে তেল মারতে হবে সময় সুযোগ মতো
উল্টো মারলে কাজ হবেনা ড্রাম মারলেও শতো।
অল্প তেলেও কাজ হবে সময়মতো দিলে
একফোঁটাতেই দেখবে তখন কাজটা যাবে মিলে।


তেলের কদর হয়না রে শেষ চক্ষু মেলে দেখো
চারপাশে সব তেল বাহিনী সাবধানে চোখ রাখো।
যেথায় তুমি যাও নারে ভাই তেল যদি না মারো
থাকবা তুমি যেথায় আছো জনম জনম আরও।


বাংলা-১৩ চৈত্র ১৪২৮
ইংরেজী-২৭-০৩-২০২২
বাংলো-জেলা ও দায়রা জজ
সুনামগঞ্জ