পথের মানুষ পথেই থাকি পথেই আমার বাস
পথের পাশে খুপড়ি ঘরে কাটেই বারো মাস।
কষ্টে থাকি ভালো থাকি নেয় না কেহ খোঁজ
খাইবা নাখাই ঘরেই থাকি রাত্রি মারে ডোজ।


দিনের বেলা নাইরে কেহ রাত্রি অভাব নাই
ডোজের পরে ডোজ মারে তাই করার কিছু নাই।
দেয় না কেহ টাকা পয়সা দেয় না কেহ খাবার
দেখায় না কেউ দয়ামায়া কম্ম হলে সাবাড়।


আধার রাতের খুপড়ি ঘরে চোরা বালি পথে
কতোজনায় চুপি চুপি আসে সুখের রথে।
দিনে এরা ভালো মানুষ সাজে সবার মাঝে
বাম ডানের বোঝে নারে সকাল সন্ধ্যা সাজে।


দিনে এদের যায় না চেনা রাতে আসল রূপ
ধরা পড়ে ন্যাংটো রূপে সাজে অপরূপ।
কইতে আমি পারিনা কিছু অন্তরে ভয় ডর
কইতে গেলে ভাঙবে শেষে আমার কুড়ে ঘর।


এমন জ্বালা সইতে নারি কইনা কারোর কাছে
কেমন করে কইবো আহা যায় যে জীবন পাছে।
খুপড়ি ঘরের পাশ দিয়ে মোর কতোই গাড়ি গুড়ি
যাচ্ছে যার যার নিজ ঠিকানায় যাচ্ছে তাড়াতাড়ি।


কেউ তো নেমে কয় না আমায় কেমন তুমি আছো?
কেমন করে দিন চলে আর কেমন করে বাঁচো?
ঘরের কোণে দিন কেটে যায় আসে না যে কেউ
আশেপাশের কুকুরগুলো করে যে ঘেউ ঘেউ।


আমি পথের ভিখারিনী মানবতার ছায়া
পড়লো নাযে আমার ওপর পড়লো নাযে কায়া।
এমনি করে জীবন আমার কাটে পথের পাশে
কাটে আমার খুপড়ি ঘরে কাটে সুখের আশে।