এই কবিতা সদ্য ভূমিষ্ঠ—
আমার রক্তের মতোই লাল,
আমার বুকের মতোই উষ্ণ,
আমার বাংলার মাটির মতোই কোমল আর কঠোর।
এই কবিতা আমার হৃদয়ের মানচিত্রে আঁকা,
যেখানে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা বয়ে চলে
স্বাধীনতার অবিরল স্রোতে।
যেখানে ধানক্ষেতের নীচে ঘুমিয়ে আছে শহীদের রক্ত,
যেখানে বাতাসে আজও শোনা যায়—
জয় বাংলা, জয় মানুষের সত্যের!
এই কবিতা কথা বলবে শাসকের রক্তচোখ উপেক্ষা করে,
লাল নিশান উড়বে আমার কণ্ঠে,
আমি বলব বজ্র কণ্ঠে—
বাংলা আমার, এই মাটি আমার,
এই নদী, এই গ্রাম, এই মানুষের ঘাম আমার!
শাসকের হুকুম নয়, এই ভূমি চলে
আমাদের স্বপ্নের শপথে।
আমি কবিতায় চিৎকার করব বাংলায়—
কখনও থামবে না এই আহ্বান,
যতবার শোষক আসবে, শাসক আসবে রক্তচক্ষু মেলে,
আমি আমার কবিতার অস্ত্র তুলব—
লেখার অক্ষরে গড়ব বিদ্রোহের দুর্গ।
এই কবিতা আগুনের মতো জ্বলবে
অন্যায় আর লোভের অন্ধকারে।
এই কবিতা বৃষ্টির মতো ঝরবে
শ্রমিকের, কৃষকের ক্লান্ত শরীরে।
এই কবিতা সূর্যের মতো উঠবে
প্রতিটি বাংলার ঘরে ঘরে।
যদি কখনও থেমে যায় বুকে লড়াইয়ের স্পন্দন,
তবু কবিতাটি জাগিয়ে রাখবে বেঁচে থাকার কারণ—
কারণ আমার কবিতা কোনো সাজানো বাগানের ফুল নয়,
এটি বুনো শাপলার মতো বাঁচে,
এটি আমার মাতৃভূমির মাটি ছুঁয়ে লেখা
একটি স্বাধীনতার অমর কাব্য।