ব্যক্তিগত কান্নার জলে বয়ে যায় এই জীবন,
সস্পর্কের দেয়ালের প্লাষ্টার খুলে পড়েছে...
প্রচার মাধ্যম জানিয়েছে মৃত্যুর বয়স হয়েছে;
রুচিশীল প্রশ্নরা তবুও  মুচকি হাসে
ব্যক্তিগত কান্নার জলে বয়ে যায় এই জীবন।
আগুনেরও ছায়া পড়ে
বিশ্বাস না হয়, দাঁড়িয়ে থেকো
আঁচ তোমাকে ছুঁয়ে যাবে…
আগুনের পাঁজারে দারুণ জ্বালা
নীল ফুল কালো হয়ে ঝড়ে পড়ে...
হায়! কী, শরীর বসেছে গায়
প্রাচীন কাম শেষ না হতেই
রুপালি পয়সারা চেয়ে থাকে রুটির দোকানে-
সেলাই করা ঠোঁট প্রতিবাদী হয়ে উঠে
পাখি আমার ডানা খুঁজে পায়না
আমি যদি উপেক্ষিত হই
তবে, প্রেম অভিশাপ্ত হবে!
চোখ স্বপ্ন দেখে জেগে উঠে...
আগুন ও বিশ্বাস পুড়ে নিঃশ্বাসে,
কফিন ও কবরের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে
শ্মশানের আগুন, মড়া শরীর ছুঁয়ে ছুঁয়ে জ্বলে…
পাখিরা উড়ে যেতে যেতে সংসার ত্যাগ করে।
সরল বিশ্বাসে ঈশ্বর একদিন মানুষ হবে!
ঈশ্বর ভালো থেকো
ওপারে না হলে উপড়ে;
আমার সাথে দেখা করো
বুকের দুয়ার খুলে-
বিষাদের বিষ বাতাসে মিশে, আত্মহংকারে নাচে
স্মৃতির দুয়ারে পোড়া কাঠ জ্বলে
প্রেম বিরহের অভিশাপে অভিশাপ্ত
ভাগ্যকে, অভিশাপ দিয়ে রাতের আঁধার ধোঁয়া উড়িয়ে আসে...
দেহটা চলে যাচ্ছে পিপড়ার দখলে, উড়াল দে দুঃখ ভুলে।
দাহ যোগ্য কাঠ চাই, নিজেই
পোড়াবো বলে নিজেরে।
জ্বলে যে আগুন পোড়াবে বলে
তার উষ্ণতায় সপে দেবে
সংসারের দিয়াশলাই ঠুকে ঠুকে।
আঁধারে গতিবেগ দেখে প্রেমের আমন্ত্রণ জানায় চাঁদ
ভুলে যাওয়া মানুষের মতোই ভুলে যেতে চাই...
ঘুমিয়ে পরার আগে ঈশ্বর ডেকে নিলেন সাথে,
বিশ্বাসের স্তর ধরে প্রার্থনায় উপস্থিত হই এক সাথে...
প্রশ্নহীন উত্তর পেতে চেয়ে আছি ঈশ্বরের দিকে,
ঘুম থেকে জেগে দেখি  শুয়ে আছি কবরে!
আমি ঈশ্বরকাব্যে বিশ্বাসি
তবুও প্রশ্ন জাগে রাশি রাশি...