বৃষ্টির হাতছানি মেঘের অভিমানে
ফেলে আসা কৈশোর টুপটাপ যেন ঝরে পড়ে।
নগরের কোলাহল ফেলে ছুটে যেতে ইচ্ছে হয় খোলা আদিগন্ত মাঠে।
ঠিক এমন হলে নিজের মুখোশটা টেনে ফেলে দিতাম।
আঁটোসাটো জীবনের অদ্ভুত একটা মুখোশ।
সহজ বিশুদ্ধ বাতাস নিয়ে নিতাম প্রাণের খাঁচায়।
আমার আমিকে হাত ধরে নামিয়ে দিতাম
সরু একফালি নদীর ঝিরঝিরে জলের স্রোতে।
পা ভিজিয়ে পাখির কিচিরমিচির শুনতাম নিমগ্নতায়।
ওলটপালট হাওয়ায় পাখির মতো ডানা মেলে উড়তে থাকার সাধ আজন্ম লুকানো আমার মনে।
মলাটবন্দী খোলসের আড়াল থেকে মুক্ত একটি দিন,
মূহুর্তের আকাঙায় পথিকের মত পথ খুঁজি।
রাজপথের পিচ ঢালা তপ্ত নিরেট পথ নয়,
সবুজ ঘাসের গালিচা, বুনো ফুলের নির্যাস,ঘাস ফড়িং, কুলকুল করে বয়ে যাওয়া নদীটা
আমাকে খুব টানে,তাদের নরম ডাকে চমকে উঠি।
যেন অনুভবের বারান্দায় এসে একলা পাখির মত বসে থাকে আমার ঘর পালানোর ইচ্ছেগুলো।
আমাকে ঘরের বাইরে ডাক দিয়ে যায়
একটা বাঁশির সুর, বাউলের মনকেমন করা গান।
সুর তাল লয় ধরতে পারিনা ঠিকঠাক।
ক্লান্তিকর অবাধ্য কঠিন সব সময় ও তার টানাপোড়েন।
প্রেমে অপ্রেমে আমার শুধু ক্লান্তি।
খুব মেঘ করলেও কবিতা আসেনা বোধ জুড়ে।
বৃষ্টির জন্য বসে থাকি,
একদিন পাহাড় দেখতে যাবো বৃষ্টি তুমি সেখানে এসো।
পাহাড়ে যাবার শখটা পুষে রাখি বৃষ্টি হবে তখন,সেই সাধ আমার আমির পুরো আাকাশময়।
সব বিসর্জন দিলেও এটুকু রয়ে গেছে, রয়ে যাবে।