স্বাধীনতা তুমি, পাকিস্তানের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রাহুমুক্ত বাংলাদেশ
ত্রিশ লক্ষ লোকের জীবন বিসর্জন আর লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের স্বপ্নের রেশ,
তুমি গাঁয়ের কোমলমতি অনিন্দ সুন্দরীদের পথ চলার অহমিকা
বাংলার সবুজ শ্যামল ছায়ে নিঃশ্বাস নেয়ার প্রাণবন্ত পরিচারিকা। ।


তুমি নরপিশাচ দমনে হাজারো লক্ষ শানিত তলোয়ার
তুমি রুদ্ধ করেছো বিদেশী বেনিয়াদের অত্যাচার আর অনাচার
স্বাধীনতা তুমি, শীতের সকালে শিশিরে ভেঁজা মুক্তোয় ছড়ানো দুর্বাঘাস
তুমি নির্বোধ উচ্চাকাঙ্খী অর্থলিপ্ষুদের ত্রাস।।


তুমি নিষ্কলুষ শিল্পমনার নূপুরের ঝংকার
তোমার হাসিতে ধরণী হাসে দূর করে দাও অন্ধকার
স্বাধীনতা তুমি, বাংলার প্রতিটি শিশুর নির্মল হাসি
তুমি অনন্যা হে স্বাধীনতা হে আঁধারগ্রাসী।।


স্বাধীনতা, তবুও কেন আজ তোমার বুকে
রক্তে রঞ্জিত হয়,অসহায় মানুষ থাকে কেন শোকে?
পিশাচের দল করে কেন ছল?
মিথ্যের জাল যায় বুনে অনর্গল?


নির্লোভ অসহায় জনগন তুষের অনলে জ্বলে কেন সারাক্ষণ?
স্বাধীনতা, প্রশ্ন আমার কাদের ত্যাগে তোমার এই অর্জন?
যাদের রক্তক্ষরণে সৃষ্টি তোমার, তাদেরই বন্ধ করে দ্বার
স্বার্থান্বেষী মহল তোমার বুকে বসে জঙ্গির উত্থান ঘটায় বারবার।।


তাদের দাওনা কেনো বিবেক? হয় কেন এখনও দুঃশ্চরিত্রের অভিষেক?
কোন তন্ত্রে হয় লিপ্ত ষড়যন্ত্রে, রাগের হয় উদ্রেক?
স্বাধীনতা, দাও বলে দেশের সহজ সরল মানুষ পড়বেনা আর কারো রোষানলে।
প্রতিটি মানুষ আপন আপন স্থলে থাকবে আনন্দ উচ্ছলে।।