আচ্ছা, পত্রহরিৎ অরণ্যে ঘেরা
পৃথিবীটা কি ভালো লাগছে?
নাকি সবকিছু এলোমেলো লাগছে?
নাকি শ্যামল ছায়ার মায়ায় বাঁধানো
পৃথিবীটা মনের মন্দিরা থেকে
এরই মাঝে হারিয়েছে?
তাহলে কিন্তু আন্দোলনে যাবো,
সর্বদলীয় জোট করে,
বিরামহীন অবরোধ ডাকবো।


শ্রাবণের মেঘলা সন্ধ্যায়
ভাবনায় ভালোবাসার বৃষ্টি ঝরাবো,
শীতের সকালে কমল সবুজ চত্বরে
খালি পায়ে হেঁটে হেঁটে
শিশিরে সিক্ত হবো।


বসন্ত বিকেলের বাতায়নে,
কৃষ্ণচূড়ার গালিচা বিছিয়ে
বাসর সাজানো গল্প শুনাবো,
আর কোকিলের কুহকিনী তানে
হারিয়ে যাবো দূর অজানায়,
যেখানে থাকবেনা নিয়মের
বাঁধানো আইনী শাসন
অথবা স্বৈরাচারী দুঃশাসন।


থাকবে না ফিরে না আসার
সাজানো কোনো কারণ,
এমন কি থাকবেনা ছোট বড়
কোনো স্টাটাস ডিস্ক্রিমিনেশন।


আচ্ছা, সময়ে কি আসবে?
নাকি ভাবনায়, সুনীল আকাশে
ডানামেলে ভাসবে আর
মুচকি মুচকি হাসবে?
নাকি অল্প অল্প গল্পের ছলে
একটু একটু করে ভুলবে?
নাকি আরও ভালোবাসবে
আর কোনো এক শীতল স্নিগ্ধ রাতে
কাছে ফিরে আসবে?
আরে বাবা, ভয় নেই!
সাথেই তো সে থাকবে,
আর একান্তই কাছাকাছি থেকে
দুজন দুজনাকে দেখে রাখবে।  


আচ্ছা, আসবে সেখানে?
যেখানে জলকেলি করে সখা-সখীরা,
যেখানে আছে শুধু ভালোবাসা,
ভালোবেসে কাছে আসা,
আছে বুনো হাঁস আর
কাছাকাছি থাকে পাখিরা।


কি? আসবে সেখানে?
যেখানে বৈশাখী ঝড়ে
দলছুট তরঙ্গের ভেলা,
সাগরের গভীরতা থেকে
ভেসে আসা শুভ্র বালুরাশি
আর বহুরূপী ঝিনুকের মেলা,
সেই সাথে সারি বাঁধা ঝাউশাখায়,
শিহরিত শীতল হাওয়ায়,
জোনাকির মৃদু জ্বলা
আর শুধু লুকোচুরি খেলা।


আচ্ছা, আবার সেখানে যাবে?
ঐ যে সেই ফাগুনের বনফুলে,
ফুঁপে ওঠা নদীকূলে।
তাহলে কিন্তু
অভিমান আছে যত ভুলবে
আর সবকিছুই খুলে বলবে।


কি আসবে?
নাকি আরও একটু ভাববে?
নাকি উত্তল তরঙ্গের মত রাগবে?
নাকি ভালোবাসার তুলিতে
হৃদয়ে আলপনা আঁকবে?


আচ্ছা, অনেক তো হলো,
এবার তাহলে চলো,
আর চলতে চলতে বলো
পুরানো প্রেম কাহিনী,
সংগে নিয়ে বিনিদ্র আঁখির
সেই আবেগী চাহনি,
আর রাশি রাশি ফুলেল হাসি,
তবে বলতে যেন ভুলোনা -
তোমায় আমি অনেক,
অনেক ভালোবাসি।
========@ZH=======