কবিতা-- প্রত্যাখ্যানের গল্প

ঠিক যেই মুহূর্তে তুমি আমাকে প্রত্যাখ্যান করেছো -
সেই মুহূর্ত থেকেই উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে
বরফের পাহাড় গলে যাচ্ছে ;
পৃথিবী ব্যাপি জলোচ্ছ্বাস,  
প্লাবন,
তলিয়ে যাচ্ছে সব,
ডুবে যাচ্ছে হৃদয়ের সকল আসবাব ।

ঠিক যেই মুহূর্তে তুমি আমাকে প্রত্যাখ্যান করেছো --
সেই মুহূর্ত থেকে এই গ্যালাক্সিতে
আর কোন আলো অবশিষ্ট নেই ;
রঙ নেই ;
স্বপ্নের শরীর জুড়ে লেপ্টে যাচ্ছে  
কালো- কালো অন্ধকার।

ঠিক
যেই মুহূর্তে তুমি আমাকে প্রত্যাখ্যান করেছো --
সেই মুহূর্ত থেকে বিশ্বব্যাপী সমরহীন যুদ্ধ ;
পাঁজরের দেয়ালে দেয়ালে বেদনার আর্তনাদ ;
হৃৎপিণ্ড জুড়ে শোণিত স্রোতের তীব্র দরিদ্রতা,  
বেঁচে থাকার দুর্ভিক্ষ।

উফফ কি মর্মান্তিক
এই প্রত্যাখ্যান!
এই ফিরে যাওয়া।

চোখের এই আকস্মিক তুষারপাত ,  নিষ্প্রভ মুখ,  
জীবনের এত কাছে এসে
আয়ুহীন হবার কথা ছিল না।
যে হাত বায়বীয় প্রেমের কাব্য লিখবে বলে
গোলাপ ও মধুমাছির  ইতিবৃত্ত রচনা করেছিল,  
সেই হাত অসমাপ্ত উপন্যাসের অবসানে ,
অপেক্ষা আঁকতো না।  

অথচ -- তুমি চাইলেই যুদ্ধ বিধস্ত  ব্রহ্মাণ্ডে
বেদনা-চাষী নির্দ্বিধায় স্বপ্নের চাষাবাদ শুরু
করে দিতো।
পানকৌড়ির ঠোঁটে আটকে পড়া মাছ
খুঁজে নিতো জীবনের সংজ্ঞা।

S.I ZITU