আজ বারে বারে মনে চায়,
ফিরে যাই সে অতীতে,
হয়ত কষ্ট ছিল, ছিল যন্ত্রণা, অপমান, একাকিত্ব।
আজ কি নেই তা?কত কষ্ট করে, কত সাগর-মহাসাগর পেড়িয়ে
কত হিমশীতল বৃষ্টি, আর কনকনে বরফ পেরিয়ে,
নিষ্ঠুরতার সীমাহীন দাবদাহ পেরিয়ে,
আজো কি পেলাম সুখের দেখা?
আজো নেই স্থিতি, নেই স্বস্তি, নেই শান্তি,
সেই অপমান দিনে-রাতে, ঘরে-বাইরে,
হঃ ঈশ্বর, হে স্রষ্টা,
হে মহাবিশ্বের প্রতিপালক,
আর কত , আর কত?
অশ্রু বইতে বইতে , নয়ন আজ অশ্রুহীন।
কেন এই রং বদলানোর খেলা?
ঈশ্বর কি সব কষ্টের ভেলা বইবার
জনেই আমায় করেছে সৃষ্টি?
হে ঈশ্বর, তুমি কি দেখেও কিছু দেখো না?
তুমি কি এই স্বার্থপর সমাজের চেয়েও স্বার্থপর?

হে মহাপৃথিবী, তুমি আমায় সবই দিয়েছ,
কিন্তু যাই দিয়েছ, না দিলেই হয়ত বেশ হতো।
আমি যাই চেয়েছি, শুধু কি ভুলে করেই চেয়েছি?
নাহ, তুমিই ভুল করে ভুল কিছু দিয়েছ,
যা আমি স্বপ্নেও ভ্রমিনি।

জানি আমি জানি,
যা ছিল আমার অতীত, যা ছেড়ে গেছে আমায়,
বা, ছাড়তে হয়েছে আমায় নিতান্তই বাধ্য হয়ে।
আজ কেন মনে হয়,
সে দিনগুলিই বেশ ছিল, ভাল ছিল
অত্যন্ত আজকের চেয়ে।

আমি একাকি সেই একাকিই আছি,
একাকিত্বের হুল  আমায় বিষফোড়ার মত ফোটাচ্ছে।
আমি চিরঅপমানিত,
জলে-স্থলে, বন্দরে, সমুদ্রসৈকতে
,
তোমাদের নগরীতে, কিংবা শত যোজনক্রোশ পেরিয়ে
তথাকথিত তিলোত্তমা নগরীতে।
হে ঈশ্বর, আমি ছাড় কাউকেই তুমি দেখনি নয়নে।
বিষের কাজল মেখেছি নয়নে,
অপমান, অসম্মান , নিন্দার জলকেলিতে।

আজ বড্ড মনে পড়ে আমার যুবকবেলা।
আমার হারানো শহর, হারিয়ে ফেলা প্রেমিক, হারানো ভাষা,
আর হারানো মানুষগুলো।