স্বচ্ছ জলের প্রান্তর ছুঁয়ে
সিলিকন বালিকণা ঝিকিমিকি
দিগন্ত প্রসারে তুমি এক অলৌকিক স্বপ্ন
আলোকময়ের জ্বলন্ত নিদর্শন
‘কক্সবাজার’।


তোমাকে অবিস্কার করেনি কলোম্বাস
এবং আবিস্কৃত হওনি কোন মানুষের দ্বারা-
সাগরের স্ফটিক প্রবাহমান জলের ফোয়ারায় জন্ম।
বিষুবরেখার ডান প্রান্ত দ্রাঘিমাংশ ছুঁয়েছ
আজ পৃথিবীর সকল মানুষের মিলন মেলা
ঢেউয়ের ছলোচ্ছ্বাসে কোলাহল মূখর।
আহ! কী সুন্দরে আবদ্ধ এ মহা ভূমি
পৃথিবীর মহাটান অনুভব করি
নানার রংয়ের মানুষের মহা নিকেতন-
তা যদি জানতো চেঙ্গিস  
তবে প্রলয় আর নিধনে গ্রাস করে নিত
অথবা হিটলার বোমা মেরে উড়িয়ে দিত জল কানন।


ওহ! হিরোশিমা ওহ! নাগাসাকি
তোমরাও দেখে যাও
প্রশান্তির আনন্দ স্রোত কিভাবে চেতনা ফিরে আসে?
কিভাবে স্বপ্নের টাইটানিক ভেসে আসে বঙ্গপোসাগরে-
সিটির জঞ্জালপূর্ণ রাসায়নিক বিচ্চুরণের নিস্কৃতি থেকে
যান্ত্রিক জীবনের ব্যাকুলতা থেকে
কিভাবে সকল অতিত ঝেরে ফেলে আসে
একটু খুশির জন্য এতটুক আনন্দের জন্য।
দেখে যাও আর্য ও অনার্য
মহানন্দ মলয় বাতাস নিয়ে যাও।


প্রতিদিন ঘর্ম ক্লিষ্ট যান্ত্রিকতায় প্রতিযোগি যখন পৃথিবী
প্রতিদিন পাপ গ্লানিমায় নিমজ্জিত যখন পৃথিবী
প্রতিদিন স্নায়ু যুদ্ধে বিবাদমান যখন পৃথিবী
প্রতিদিন সম্রাজ্য দখল যুদ্ধে লিপ্ত যখন পৃথিবী
তখন একটু প্রশান্তির শুভ্র জলে সূর্যস্নান সেরে নাও
পবিত্রতার আসল নৈতিক সংস্পর্শ খুঁজে পাবে
তাই ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখিরা আসে- স্বাগতম! স্বাগতম!
এসে এসে দেখে যায়... কতটা প্রচ্ছন্ন হলে
তবে ভালবাসা যায়.. কতটা আয়েশী হলেই পরিচ্ছন্ন হওয়া যায়।
হায়! এরিস্টোটল বেঁচে থাকলে এ নিয়ে দর্শন লিখতো
এলিয়েট কবিতা লিখতেন এখানে হেলান দিয়ে
হায়! শেলী বেঁচে থাকলে হয়তো এ সাগরই তোমাকে পেত
ফেরদৌসি তোমাকে দিতেন প্রতিশ্রুত প্রতিদান সুলতান মাহমুদ।


ওহে! কক্সবাজার.. তুমি পৃথিবীর বৃহত্তর সমুদ্র সৈকত
তোমাকে চিনেছে জিওগ্রাফী চ্যানেল টিভি
তোমাকে চিনেছে গুগুল আর্থ
তুমি তো বাংলার ব্যাবিলন, পিরামিড
তোমার নাম যে অঙ্কিত আছে ওয়ান্ডার সেভেন-এ
বিশ্বময় সারা জাগানোর আয়োজনে ব্যস্ত
একটি প্রজ্ঞাময় যাদুমোহ আকর্ষণে
আলিঙ্গণে নিয়ে আসে আলোকময় সৈকত আশ্রম।
আনন্দ আরও আনন্দ জোয়ারে হাসছে যিনি নিরাকার
হাসছে কক্সবাজার, হাসছে বাংলাদেশ।