এই পথে হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত করেছি আপন সুখ
কখনো দাঁড়াইনি ক্ষণিকের অবসরে পোড়াবাড়ির সন্মুখে
যেখানে আজও কথা কয় মনের প্রতিমা প্রিয়া
একা একা নিঝুম নিরালা....
আজো জেগে ওঠে বলে যেন
পুরনো প্রেমের রামাঞ্চর কথকতা-
যেদিন সানাই লগ্ন শেষে পাড়ি জমালাম ভিন দেশে
বুকের ভেতর মাথা রেখে মুখ গুঁজে
জ্বলজ্বল ছলচ্ছ্বল মৃগাক্ষী দৃষ্টিতে বলেছিল-
‘মনে রেখো...চিঠি দিও...ভুলনা আমায়’;
আজ কুড়িটা বছর কেঁটে গেল
ভাঙ্গা সাম্পান পেলো সে হারানো কৈশর
অথচ আমার ঘরে সন্ধা প্রদীপ জ্বলেনি অন্ধকারে আর....
শুধু একটি প্রহরের প্রজ্ঞাময় মোহতায়
প্রতিদিন সুরশ্রী ঝংকার বাজে কানে কানে
প্রতিদিন কথা কয় বিদায়ী বাঁশরী কেঁদে কেঁদে
আমার হৃদয় ছিঁড়ে বের হয়ে আসে
প্রগাঢ় প্রেমের স্মৃতি- বিষাদ বেদনা
কখনো আকাশ ছোঁয়ানো ঘুড্ডির মতো ওড়ে দূর নীলিমায়...
বিদায়ী ঘন্টার ধ্বনি বেজেছিল শেষে
তার আর্তনাদে বিহ্বল আকাশ পাতাল মর্মস্পর্শী ক্রন্দনে ক্রন্দনে
বলেছিল বারংবার হাত কাছে টেনে বলেছিল...
‘আমি যে বাঁচব না...ক্ষমা করে দিও...’
যেদিন কোকিলা কণ্ঠ থেমে থেমে আসে তার
ক্ষীণ স্বরে বলেছিল কানে রেখে মুখ
মনে রেখো... মনে রেখো.. যত্নে চিরদিন চিরকাল।
অতঃপর কতকাল কতদিন কত রাত....
আলোর ভেলায় আঁধার কাটেনি কোন
কাঁটেনি পান্থের ক্লান্তহীন পথ চলা
ঘুরছি কত দিগ্বিদিক দেশান্তরী বেশে
খুঁজছি কত সেই মুখ সেই চোখ সেই ঠোঁট তার
আমি আজও পাইনি সান্ত্বনা তার-ই মতো
বাচন ভঙ্গিম সেই শেষ কথার মধুর স্বাদ।