এই পথ চেয়ে বসে আছি দখিনা দুয়ার মেলে
রূপালী পা দু’টো ফেলে আসবে বুঝি আনন্দ বাসরে
তোমার পরশ মাখা হাতে যে ঘর সাজিয়েছিলে
ঘরখানা শূন্যতায় পরিপূর্ণ হলো অন্ধকারে
বলো কে র’রে সেজুঁতি হাতে আমার পাশে দাঁড়িয়ে?
মনে পড়ে বসেছিনু সেই বটচ্ছায়ায় দু’জনা
আজো রাখাল বাঁশরী বাজায় যে সুর চেনাজানা
কখনো সুর মিলিয়ে যেতে নব দিগন্তে হারিয়ে-
কত যতনে সোহাগে জয় করেছো অন্তরখানা
বেঁধেছ কি আজ তুমি মরিচীকার কূহক জালে?
অন্তরে অন্তর রেখে বাতাসে দিলে হাত বাড়িয়ে
জানি না সে পাবো কিনা স্বর্গমর্ত্য খুঁজে কোনকালে;
আজ আকাশে মেঘের ঘনঘটা বাজে ওই বাজনা
দিনের আঁধারে পাশে নেই স্মৃতি দিয়েছ তাড়িয়ে।