চিত্রলতা পাশের বনে থাকে, সেখানে ঘুম নেই,
বনেচর বাহারিয়া এপাশ-ওপাশ ছুটছে তো ছুটছেই
পাহাড় বেয়ে রাস্তাটা নেমেছে মহাশয়?
শেষ কোথায় বলতে পারেন?
আঁকাবাঁকা স্বপ্নাদেশ যেখানে--সেখানে হয়তো রাস্তাটা শেষ
                         কখনই হয়রান হইনি,
                                                   একটা প্রভা!
প্রভুর মতো জ্বলতে থাকে বাঁ পাঁজরের ভিতর
খুঁজেই চলছি ঐ হাওয়া ঘড়টা,
খানিকক্ষণ হেঁটে গেলাম মনে হচ্ছে!
তবে হাত গুলি কেন ভেজা!
হাতের কুনুই থেকে লাল চটচটে কি যেন পড়ছে!
                                                ভুলে যাচ্ছি....
সত্যি সত্যি দারুণ একটা হাওয়া ঘড়,
পাশে ক'জন নওজোয়ানি দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছে
ইশ! তারা শ্রান্তিহীন আর কমল
মানবের নিঃশ্বাস ভেদ করে তাদের কালো পোশাক
সামনেই জলের ধারায় স্বচ্ছ বিশ্বাসের স্পষ্ট সুখ,
ঘোলাটে থেকে অনেকদূরে এখানে শুধু পাথর
ডেকে বললো,
                   'আসুন ডুবে যাই, তৃষ্ণা বেড়েছে?'
চোখ-মুখ সহ সর্বথা নির্বাক, ক্ষণ যেন মহাকাল!
পরোক্ষ আর প্রত্যক্ষের ছন্দে কিছুটা প্রশ্বাস নিয়েছিলাম
                                            এখনো নিলাম....
হঠাৎ প্রকৃতির জরায়ুতে দ্যাখছি...
                                      আমি.সুন্দর হাওয়াঘড়.ইট কনক্রিটে সাজানো.খাঁচাবন্দি বাঘ.তলোয়ার হাতে পাহারাদার.সামনেই বৈঠক খানা.রঙিন পানীয়.সুইমিংপুল.বাইজীর ঢুলুনি.মসলিনে রমণী.ছুড়ে ফেলে দিয়েছি মৃত্যু.বুঝে গেছি ইহকাল পরকাল সবিই মিথ্যে.ঝালরবাত্তির চমকানি.........শব্দ!
মস্তিষ্ক চিন্ চিন্ শব্দে স্পন্দিত হচ্ছে
ঘোর কেটে গেলো
নিজেকে আবিষ্কার করলাম
বসে আছি গলিতে রাখা ভাঙ্গা ভ্যানগাড়িতে
সামনেই ব্যানারে লিখা,
                           "৯৩, কেশব ব্যানার্জি রোড, লোহারপুল"
।।
৮/১০/১৭