তার প্রতিটি উচ্চারণের প্রলাপ বিছিয়ে দেয় মস্তিষ্কের ভাঙা অংশ,
স্নায়ুতন্তু ছিঁড়ে জেগে উঠে উদ্যম সাগরের ছিন্নমস্তক।
শ্বাস-প্রশ্বাসের গভীর ক্রন্দনে সে ভালবাসতে শেখায়,
যেমন করে শ্বাস নেয় সদ্যজাত শিশুর লোমকূপ!
অনাবিল অমৃতকথা তার সাথে রাত্রিবেলার প্রহরী...
সময় মায়া হয়ে যায় সম্মোহনী তার রসামৃত স্নেহডোরে।
এখন কি তবে শ্রাবণ নাকি হৃদয়ের পার্বণ!
ছেলেটি চেয়ে আছে স্বপ্নিল আঙিনায়...
হাত দুটি পকেটে ঢুকিয়ে ঘুরে আসে সামনের মন্দির পর্যন্ত।
বৃষ্টিস্নাত দিনেরাতে হামাগুড়ি দেয় খুঁজে ছোট্ট দুটি হাত,
নীল লাল বৃত্তে বাঁধানো কব্জিতে মুঠো দিয়ে থাকে।
অনায়াসে নিবেদন করে হালকা হাওয়ার তন্দ্রালু বেশে,
ভয় পেয়ে হাসিটা থেমে যায়, থামিয়ে দেয় অবলোকনের আগ্নেয়গিরি।
আলোকচিত্র দেখিয়ে দেয় ধোঁয়াটে ইতিবৃত্ত,
মানিয়ে নেয়, বুঝে যায়, তাকিয়ে থাকে অসীম কুন্তল।
সে সাহসিনী বটে! মুগ্ধতা ভরা সুন্দর নীরবচারীনী।
দুই ডাই-অপ্টার বক্রপথে খুঁজতে থাকে নিজেকে, আপনাকে।
ছেলেটি তাকিয়ে থাকে,
ঘনকুয়াশা চুল।
ঠাণ্ডাজল কপাল।
নীলকণ্ঠ অবয়ব।
লোহিতকণা ঠোঁট।
লেপ্টানোতল তনু।
গলিপথ চাপানো আবেশ।
প্রতিক্ষণ উৎকণ্ঠা।.......
মেয়েটি কি ভাবে! তাঁর জন্য অপেক্ষায় অধির বৃক্ষশাখা
খুঁজতে থাকে নাগরিক লোকবৃত্তের অন্তরালে, গলির মোচড়ে।
কোন এক আসন্ন শ্রাবণে তাকে নিয়ে হাঁড়িয়ে যাবে
কালো জল ফোঁটা বসিয়ে তাকিয়ে থাকবে সবুজ চত্বরে
প্রত্যহ প্রদোষে মহড়ায় ভাবনা দিয়ে ছুটে, আর কতদূর!
শিহরণসমেত ইতিহাস প্রলিপিবদ্ধ করতে থাকে হয়তোবা অগোচরে
খরের চালে বেঁয়ে নিঙড়ানো স্বপ্নে অপার খুনসুটি।
সামনের পথে সে হেটে যাচ্ছে ছেলেটি পিছুপিছু,
প্রতিটি ক্ষণের পিছনে ভাবাবেগ আর মায়ার প্রচ্ছন্নতা।
ছেলেটি নিজের কাছে বাধ্য! তবে রীতি নেই বাধ্যগত।
প্রতিটি ঘুম এগিয়ে যায় বার্তাপেক্ষা আর ধাবনীয় ঘোরে,
আশালতা নিয়ে থাকে তাকে নিয়ে পাহাড় দেখবে, দেখবে নদী,
নয়তো এককাপ কফি.......
০৭-০৮-২০১৭