কিছু নীল চুড়ির সফেন সমুদ্রে যেখানে সময় স্থির।
সাঁতরে পাড় খুঁজছি ক্লান্ত চোখে,
তবে কি সে বাংলা একাডেমীর পুকুর ঘাট পর্যন্ত এসেছিলো?
নাকি অপাড়ের রাজহংসী সেজে ছিলো!
নীল চুড়ি গুলো অদ্ভুত ছিলো, অদ্ভুত ছিলে তুমিও।
হাতের রেখার সমতটে কয়েকটা মানচিত্র,
কানের নিচে কিছু অস্পর্শ সুন্দরের অস্পষ্টতা,
এলোকেশী গর্দানের হালকা উষ্ণতা,
দারুণ থেকেও দারুণতর ছিলো মুহূর্তকাল সমুদয়!
ভালোলাগার তৃষ্ণালু চোখে দ্যাখেছি:
নীল শাড়ী-সোনালী পাড়,
চোখের পাশে অগোছালো চুল,
কয়েকশো ফাগুন,
মুগ্ধ সজীবতা,
কিঞ্চিত বিড়ম্বনা,
কিছু অপলকা দৃষ্টি।
খাদ্যতালিকার কথাগুলো কী মনে আছে?
নাকি সুকান্ত বাবুর কবিতার অপেক্ষায়!
বিলুপ্তপপ্রায় কৃত্য আজ শুধু চেয়ে আছে কালো টিপে,
আহ্লাদ করছে তোমার নীলিম আবেশে।
রিক্সাযাত্রার ধোঁয়াটে কথাগুলি ভাসছে,
তৃতীয় জানালাটির পাশে।
আমি শুধু আছোঁয়া দৃষ্টিপটে চেয়ে আছি!
আকাশরঙা শাড়ীর ভাঁজে ভাঁজে যেনো জোনাকির প্রেম!
মাঝেমধ্যেই ঝিঁঝিঁপোকার ডাক।
শুনতে যেনো ভরদুপুর বর্ষাকালে,
টিনের ছাদে বৃষ্টিফোঁটার গান!
ইচ্ছে ছিলো অনন্তকাল ঘুমিয়ে থাকি সেই,
বাসন্তী চুলে.শাড়ীতে.টিপে.
নাকে.চোখেমুখে.ঠোঁটেঠোঁটে!
চেয়েছিলাম গালিচা বিছিয়ে হেটে যাবো দূর নৈসর্গে।
কিন্ত চুড়ি! আমায় এলিয়ে দিচ্ছে নিরবতায়
হ্যা এ যে অপরাজিতার নীল চুড়ি!!
।।
১৫-২-২০১৭
ঢাকা